• কূটনৈতিক সংবাদ
  • লিড নিউজ

ইসরায়েল থেকে সব কূটনীতিককে প্রত্যাহার করল দক্ষিণ আফ্রিকা

  • কূটনৈতিক সংবাদ
  • লিড নিউজ
  • ০৭ নভেম্বর, ২০২৩ ১০:৩৮:০৭

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ ফিলিস্তিনের গাজার পরিস্থিতি নিয়ে তাদের উদ্বেগের বিষয়ে ‘ইঙ্গিত’ দিতে ইসরায়েল থেকে সব কূটনীতিককে প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার। সোমবার এই ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের একজন মন্ত্রী খুম্বুদজো এনতশাভেনি একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তেল আবিবে নিযুক্ত সব কূটনৈতিক কর্মীকে পরামর্শের জন্য প্রিটোরিয়ায় ফিরে যেতে বলা হবে।

তবে তিনি এ বিষয়ে আর কোনো বিশদ বিবরণ দেননি। খবর রয়টার্সের।গাজায় ‘নির্বিচারে’ বেসামরিকদের উপর হামলা ও ‘হত্যাযজ্ঞের’ পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট উদ্বেগ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালেদি প্যান্ডর। কূটনীতিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার ঘটনাকে ‘স্বাভাবিক’ বলে ছেন সাউথ আফ্রিকান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

যদিও ইসরায়েলে দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত নেই। এক সংবাদ সম্মেলনে নালেদি প্যান্ডর বলেন, আমরা ফিলিস্তিনি অঞ্চলে শিশু ও নিরপরাধ বেসামরিকদের অব্যাহত হত্যাকাণ্ডে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তাছাড়া আমরা মনে করি, সারাবিশ্ব থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর মধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকার এমন উদ্বেগের ইঙ্গিত দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে কাজ করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটির বর্তমান সরকার ফিলিস্তিনিদের অবর্ণনীয় নিপীড়নের ঘটনাকে ১৯৯৪ সালে অবসান ঘটা বর্ণবাদী শাসনের সময়কার দুর্দশার সঙ্গে তুলনা করেছে।গত মাসে কায়রোতে অনুষ্ঠিত শান্তি সম্মেলনে অংশ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা সংঘাতে লিপ্ত উভয়পক্ষকে অস্ত্র সরবরাহ না করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। একই সময়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য সৈন্য মোতায়েনে জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানায়।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলায় নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহতদের তালিকায় শিশু ৪ হাজার ১০০টিরও বেশি। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র দেয়ার পরিকল্পনা করছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। এর মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক বোমা, যা লক্ষ্যবস্তুতে অত্যন্ত নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে পারে।

সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলি হামলায় শহরে নিহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ হাজার ২২ জন। এর মধ্যে ৪ হাজার ১০৪ জন শিশু। আর আহত মানুষের সংখ্যা অন্তত ২৫ হাজার ৪০৮ জন।খবরে বলা হয়েছে, তালিকায় থাকা নিহত ব্যক্তিরা ছাড়াও অন্তত ২ হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের মধ্যে ১ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিখোঁজদের প্রায় সবাই বোমার আঘাতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ভবনগুলোর নিচে চাপা পড়ে আছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুধুমাত্র তাদের তত্ত্বাবধানে থাকা অবস্থানগুলোতেই ২৭০টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে তিনটি প্রধান হাসপাতালেও বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে।এ ছাড়া পুরো উপত্যকাজুড়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর ৭১ শতাংশই জ্বালানি সংকটের কারণে হয় বন্ধ হয়ে গেছে। আঘাতপ্রাপ্ত অসংখ্য ব্যক্তি এবং গর্ভবতী নারীদের সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা কোনো রকম চেতনানাশক ছাড়াই অস্ত্রোপচার করছেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo