• রাজনীতি
  • লিড নিউজ

বিএনপি জাতির চেতনায় বারবার আঘাত হেনে চলছে: ওবায়দুল কাদের

  • রাজনীতি
  • লিড নিউজ
  • ০৩ নভেম্বর, ২০২৩ ১১:১০:৪৩

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ বিএনপি জাতির প্রধান দুশমন বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির কিছু ভাড়া করা লোক আছে, তাদের দলের ভেতরে ট্রেনিংপ্রাপ্ত কিছু দুষ্কৃতকারী আছে, যাদের দিয়ে বাস পোড়াবে, বাসে আগুন দেবে, ভাঙচুর করবে, এসব অপকর্ম করার জন্য অবরোধ ডাকা হয়েছে।

শুক্রবার (০৩ নভেম্বর) জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৮ তারিখ আবারও প্রমাণ হয়েছে সাম্প্রদায়িক শক্তির সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। এরাই জাতির প্রধান দুশমন। এ দেশের গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতাকে নিরাপদ করতে বিএনপির নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে, পরাজিত করতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সেদিন বিএনপি ২৪ জন সাংবাদিকের ওপর নৃশংসভাবে হামলা করেছিল, কিভাবে একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছিল, হাসপাতালে হামলা চালিয়েছিল, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল।

পার্কিং করা বাসে হেলপার শুয়েছিল, ঘুমন্ত হেলপারকে গাড়িসহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এসব অপকর্মের যারা নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের আটক করা কি দমনমূলক? অপরাধ করলে বিচার হবে না? ২৪ জন সাংবাদিকের ওপর সেদিন যে অত্যাচার করেছে তারা কি দায় এড়াতে পারবে? এটার বিচার হবে না? অপরাধ করলে বিচার হবে। তিনি আরও বলেন, তারা আরও অবরোধ দিক। গতবারের অবরোধ রয়ে গেছে। এখনো প্রত্যাহার করার কোনো লক্ষণ নেই। এরা টায়ার্ড হয়ে গেছে। জেলে না হয়, পালিয়ে হিন্দি সিরিয়াল দেখবে।  

সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের আজ প্রশ্ন, এটা জাতির বিবেকেরও প্রশ্ন, বাংলার মাটিতে এই হত্যা, ষড়যন্ত্র, এই রাজনীতির শেষ কোথায়? আমাদের কাছে মনে হয়, ’৭৫ থেকে যে হত্যাকাণ্ড, সব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ হিসেবে। সেই পরাজিত শক্তি বারবার জাতির মর্মমূল, জাতির চেতনায় বারবার আঘাত হেনে চলছে। এরা সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প সরাচ্ছে। আজ তারা শেল্টার পেয়েছে। এদের বিশ্বস্ত ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি।

পঁচাত্তর সালের ১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বর যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলো কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বর একই সূত্রে গাঁথা, একটি ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নিঃশেষ করার চক্রান্ত হয়, শুধুমাত্র শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে ছিলেন বলে তারা রেহাই পেয়েছেন।

এরপর ৩ নভেম্বর জেলের অভ্যন্তরে মুক্তিযুদ্ধের চারজন বিশিষ্ট সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর সহচর, আমাদের চারজন জাতীয় নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। এরপর ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট, সেটার প্রধান টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধুর কন্যা, আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরআগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo