'তারেক জিয়া মাকে দেখতে আসেন না তিনি দেশের ১৭ কােটি মানুষকে কিভাবে দেখবেন'

ছবিঃ সিএনআই

দিনাজপুর প্রতিনিধি:  জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি তারেক জিয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, মা খালেদা জিয়া চরম অসুস্হের মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে। কিন্তু মাকে একবারও দেখতে আসেন না। যিনি মাকে দেখতে আসেন না তিনি বাংলাদেশের ১৭ কােটি মানুষকে কিভাবে দেখবেন। হাওয়া ভবন থেকে শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু পারেনি। সেই খােয়াব এখনাে তারা দেখছে। এ খােয়াপ কােন দিন পুরন হবে না। 

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মত প্রধানমন্ত্রী হবেন।  আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফখরুল সাহেবরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবী করছেন। অথচ আমরিকাসহ ইউরােপীয় দেশগুলি কােনদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলেননি। 

আজ ১৭ অক্টােবর মঙ্গলবার দিনাজপুরের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে  দুর্যােগ ব্যবস্হাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের আওতায় গ্রামীণ অবকাঠামাে রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচি চেক বিতরন এবং শারদীয় দুর্গাপুজা উৎসবমুখর আনন্দঘন পরিবেশ উদযাপনের জন্য দুর্গা মন্ডপসমুহে জিআর খাদ্যশস্য (চাল) বিতরন অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদর হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি। এতে টিআর কর্মসূচির আওতায় ১৬৩টি প্রতিষ্ঠান চেক বিতরন ছাড়াও ও জিআর খাদ্যশষ্য কর্মসূচির আওতায় ১৬৩টি দুর্গা মন্ডপ চাল বিতরন করেন তিনি।  এতে মােট  বিতরন অর্থের পরিমান ১ কােটি ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩৩৩ টাকা।

এতে সভাপতিত্ব করেন সদরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  রমিজ আলম।   বক্তব্য দেন উপ-সচিব মােরারজি দেশাই বর্মন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম সােহাগ, দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি চিত্ত ঘােষ,  জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক উত্তম কুমার রায়, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুনিল চক্রবর্তী, সাধারন সম্পাদক রতন সিং, কােতয়ালী থানার ইনচার্জরফরিদ হােসেন, আওয়ামীলীগের পৌর কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট শামীম আলম সরকার বাবু,  উপজলা কমিটির সাধারন সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী দূর্জয় দাস তিতুন।

হুইপ ইকবালুর রহিম আরো বলেন,  হিন্দু-মুসলিমদের মিলন মেলার জেলা দিনাজপুরে  হিন্দু মুসলিম, খ্রীষ্টান সকলই সমান। এখানে কােন ভেদাভেদ নেই।  ঐতিহাসিক গাের শহিদ বড় ময়দানে এশিয়ার মধ্যে বৃহত্তম ঈদগা মাঠ এবং কাহারােলে রয়েছে কান্তজীউ মন্দির। মুসলিম এবং হিন্দু কারিগরের হাত দিয়ে স্হান দুটি নির্মান করা হয়েছে।  সম্প্রীতির অন্যন্য স্হান দিনাজপুরে মুসলিমরা মন্দিরে আর হিন্দুরা কোরআন শরিফে আগুন দিয়ে নাশকতা করতে পারেনা।