• উদ্যোক্তা খবর

পাপোশ বানিয়ে ভাগ্য চাকা খুলেছে ২৫০ নারীর 

  • উদ্যোক্তা খবর
  • ১৬ জুলাই, ২০২৩ ১৩:৫৫:০৯

ছবিঃ সিএনআই

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝড় ইউনিয়নের অদূরে সবুজেঘেরা গ্রাম নারায়ণপুর।আর এই গ্রামে গড়ে উঠেছে  পাপোশ তৈরির কারখানা।গ্রামটির ভেতরে ঢুকতেই তাঁতের খটখট শব্দ। এখানে নারীরা তাঁতে পাপোশ বুনছেন। কেউ পাপোশ ডিজাইন করছেন। কেউ মেশিনে সুতা থেকে পাপোশের জন্য রশি বুনছেন। কর্মকর্তারা তদারকি করছেন। ডিএসডিও প্রকল্পের আওতায় দারিদ্র্য দূরীকরণ ও বেকারত্ব দূর করতে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে পাপোশ তৈরি কারখানা গড়ে তোলেন  নারী উদ্যোক্তা সাবিনা ইয়াসমিন।তার হাত ধরেই গ্রামের অবহেলিত শত শত বেকার নারীর ভাগ্য দার খুলে যায় পাপোশ তৈরি কাজ করে।এতে করে তাদের জীবীকা নির্বাহ জন্য তৈরি হয় নতুন কর্মসংস্থান।বর্তমানে তার কারখানায় ৭০ টি পাপোশ তৈরি মেসিনে  নারী পুরুষ সহ ২৫০ জন শ্রমিক কাজ করছেন।গ্রামের নারীদের শৈল্পিক হাতের তৈরি পাপোশ জেলার চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলার রপ্তানি করছেন।

পুর্ব দামোদরপুর গ্রামের হালিমা বেগম(৩৫) স্বামী বিদেশে থাকেন।কিন্তু স্বামী সংসারের মিল না থাকায় এক ছেলে কে নিয়ে বাবার বাসায় থাকেন।অভাবের সংসারে সচ্ছলতা জন্য বাধ্য হয়ে পাপোশ বানানোর কাজ করেন।এতে করে পাপোশ বানিয়ে প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকা ইনকাম করেন।যার ফলে এখন ছেলেকে নিয়ে মোটামুটি ভালোভাবে চলছে।

উত্তর ধানঘরা গ্রামের কুলসুম আক্তার(৩০) জানান,  স্বামীর অভাবের সংসারের যেটুকু আয় করেন তা দিয়ে সংসার চলে না।তাই আমি বসে না থেকে পাপোশ তৈরি কাজ শিখেছি। এই কাজ করে মাসে ৪ হাজার টাকা ইনকাম করি।এতে করে আর আগের মতো ধারদেনা করে চলতে হয় না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হালিমা,কুলসুম এর মতো প্রায় ২৫০ নারীকে পাপোশ তৈরি প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে নিরাশা দূরীকরণ আত্নসামাজিক উন্নয়ন সংস্থা (ডিএসডিও) নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।

ডিএসডিও প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন,গ্রামের অবহেলিত বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান তৈরি জন্য এই পাপোশ এর কারখানা গড়ে তুলেছি।বর্তমানে আমার এই কারখানায় ২৫০ জন নারী প্রশিক্ষণ নিয়ে পাপোশ এর কাজ করছেন।তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে এই কার্যক্রম দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করার চিন্তাভাবনা নিয়ে কাজ করছি।

গাইবান্ধা বিসিকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রবীন চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিসিক থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে কুটিরশিল্পে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। নিবন্ধন প্রদানের পর প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালকসহ তিনজনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তারা দরিদ্র নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর তাদের কাজের সুযোগ দিচ্ছেন। এ ছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo