• শিক্ষা

হাইকোর্টে রায়ে ৬ বছর পর চাকরি ফিরে পেলেন সেই ইবি শিক্ষক

  • শিক্ষা
  • ০৪ জুন, ২০২৩ ১৩:৫৫:২৬

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে চাকরিচ্যুত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং বিভাগটির সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামানকে প্রায় ছয় বছর পর চাকরিতে বহালের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

শুক্রবার (২ জুন) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বাহান্ন নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সে মামলা করলে হাইকোর্ট তার পক্ষে রায় দিয়েছে এজন্য আবার তাকে স্বপদে পুনর্বহাল করা হয়েছে। 

তিনি জানান, মহামান্য হাইকোর্ট তাকে চাকরিতে বহালের সিদ্ধান্ত দেয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ সিন্ডিকেটের ২৫৯ তম সভার ৫৫ নং প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার চাকরি পুনঃ বহালের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। হাইকোর্টে বিচারে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে স্বপদে ১৬ এপ্রিল ২০১৭ হতে পুনর্বহাল করা হয়েছে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক আসাদুজ্জামানের যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগটি প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৬তম সিন্ডিকেটে আসাদুজ্জামানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। এরপর হওয়ার পর হাইকোর্টে আপিল করেন ওই শিক্ষক। সম্প্রতি হাইকোর্ট তাকে চাকরিতে বহালের নির্দেশ দেন। এ সংক্রান্ত নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আসলে সোমবার সিন্ডিকেট সভায় তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 

এর আগে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ বিভাগের ছাত্রীর সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠে আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে। ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে নিজ বিভাগের এক ছাত্রী তার বিরুদ্ধে উপাচার্য বরাবর এ অভিযোগ করেন।

সেই আবেদনপত্রে ওই ছাত্রী উল্লেখ করেন, তার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান আসাদ ২০১৪ সালের শুরুর দিকে তার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন এবং নিয়মিত ফোন দিতেন। পরে শিক্ষকের জোরাজুরির কারণে তার সঙ্গে একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং শিক্ষক তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখায়। কিন্তু বর্তমানে ওই শিক্ষক তার সঙ্গে কোনোভাবে যোগাযোগ করতে চাচ্ছেন না। ওই ছাত্রী আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করেন।

এঘটনায় ঘটনা তদন্তে ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও লোকপ্রশাসনের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. নাসিম বানুকে আহ্বায়ক করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া সেসময় তার বিরুদ্ধে বিভাগের অর্থ আত্মসাৎ এবং চলমান পিএইচডি জালিয়াতির অভিযোগ এনে পৃথক তদন্ত কমিটি করে প্রশাসন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই এবং অভিযুক্তর শোকজ উত্তর পর্যালোচনা শেষে আসাদুজ্জামানকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

এ বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আল্লাহর নিকট শুকরিয়া। আলহামদুলিল্লাহ, আমি সম্মানের সহিত পদটি ফিরে পেয়েছি। তখন আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছিল, উচ্চ আদালতে সুবিচার পেয়েছি এবং আমি যোগদান করেছি।’

 

 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo