
কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ টেকনাফে র্যাব-১৫ কক্সবাজার অফিসের সদস্যরা পৃথক অভিযান চালিয়ে ৯ লাখ পিস ইয়াবা জব্দ করেছে। এ সময় মহিলাসহ পাঁচজন মাদক কারবারিকে আটক করেছে।
এরা হচ্ছে টেকনাফ পৌর সভার উত্তর জালিয়াপাড়ার আব্দুল শুক্কুর'র ছেলে আলমগীর হোসেন (১৯), আব্দুর শুক্কুরের স্ত্রী সোনা মেহের (৫৫), সৈয়দ হোসেন'র ছেলে আবুল বশর (২২), হ্নীলা ইউনিয়ন জাদিরপাড়ার শামশুল আলমের ছেলে এমরান প্রঃ লাদেন (২৮) ও ফুলের ডেইল মোঃ সিরাজুল ইসলাম'র ছেলে মোঃ ফয়সাল (৩১)। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত ২২ বছর আত্মগোপনে থাকা মাদক মামলার অপর পলাতক আসামী কক্সবাজার সদর উপজেলার রুমালিয়ার ছড়ার হাজী আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে রশিদ আহমদ (৪৮) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাব-১৫ সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ মে সোমবার র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তর এবং র্যাব-১৫ এর গোয়েন্দা সূত্রে র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল জানতে পারে যে, টেকনাফ উপজেলার পৌর সভা জালিয়াপাড়া এলাকায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবার চালান সরবরাহের লক্ষ্যে কতিপয় মাদক কারবারী অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত (২৯ মে) সোমবার রাতে র্যাবের আভিযানিক দল ওই স্থানে একটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনার করে। একপর্যায়ে কিছু ব্যক্তি র্যাবের আভিযানিক দলের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালানোর চেষ্টাকালে এক মহিলাসহ তিনজন মাদক কারবারীকে র্যাব আটক করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে বাড়ী ও বসত ঘর তল্লাশী করে ধৃত আলমগীর হোসেন এর ঘরের খাটের নিচে স্কুল ব্যাগ ও বস্তার ভেতর হতে বিশেষ কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় মোট ২ লক্ষ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। ধৃত মাদক কারবারীরা জানায়, আলমগীর হোসেন ও সোনা মেহের সম্পর্কে মা-ছেলে এবং আবুল বশর তাদের যোগসাজশে বিভিন্ন স্থানে মাদক সরবরাহ করে থাকে। ধৃত মাদক ব্যবসায়ীদের হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, তাদের মাদক চক্রের সাথে জড়িত কতিপয় ব্যক্তি টেকনাফ উপজেলার ২নং হ্নীলা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ওয়াব্রাং সুলিশপাড়া এলাকায় বিশাল বড় একটি ইয়াবার চালানসহ অবস্থান করছে।
উক্ত তথ্যের প্রেক্ষিতে র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল সোমবার ভোর রাতে ওই স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আরো ৭ লক্ষ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার সহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারিরা আরো জানায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ মাদক চোরাচালানের চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই চক্রের মূলহোতা আবুল বাশার। তারা পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘ দিন যাবৎ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে ইয়াবা ও অন্যান্য মাদকের বড় চালান অবৈধভাবে পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে টেকনাফে নিয়ে আসে।
ধৃত মাদক ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত কৌশলে আর্থিক লাভের জন্য ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য বিভিন্ন পন্থায় নিজেদের হেফাজতে রেখে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করে থাকে মর্মে জানা যায়। গ্রেফতাকৃত মাদক ব্যবসায়ী সোনা মেহের এর বিরুদ্ধে কক্সবাজার টেকনাফ থানায় ০১টি মাদক মামলা; মোঃ ফয়সাল এর বিরুদ্ধে কক্সবাজার টেকনাফ থানায় ০১টি মাদক মামলাসহ মোট ০২টি মামলা এবং এমরান প্রঃ লাদেন (২৮) এর বিরুদ্ধে কক্সবাজার টেকনাফ থানায় ০১টি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ কক্সবাজার অফিসের অধিনায়ক লে. কর্ণেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
মন্তব্য ( ০)