• শিক্ষা

সাড়ে ৩৫ হাজার প্রাথমিক স্কুল সংস্কারে ১৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দ

  • শিক্ষা
  • ২৬ এপ্রিল, ২০২৩ ১৬:০৩:৪৫

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ সারা‌ দেশের ৫১৩টি উপজেলার ৩৫ হাজার ৮১৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১৪৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব স্কুলের ভবনগুলোর রুটিন মেইনটেনেন্স করা হবে এ টাকায়। চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওতায় প্রতিটি স্কুল এজন্য ৪০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ পাবে। 

সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের অনুকূলে এ টাকা বরাদ্দ ও ব্যয়ের মঞ্জুরি দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

গত ১৭ এপ্রিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসারের কাছে পাঠিয়েছিল। চিঠির অনুলিপি জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদেরও পাঠানো হয়েছে।

অধিদপ্তরের অর্থ শাখার উপপরিচালক এইচ এম আবুল বাশার স্বাক্ষরিত ওই আদেশে এ টাকা ব্যয়ের কিছু শর্ত দেয়া হয়েছে। শর্তগুলোর মধ্যে আছে- কোনো অবস্থাতেই বরাদ্দকৃত টাকার অতিরিক্ত টাকা তোলা বা ব্যয় করা যাবে না। বর্ণিত খাত ও অর্থনৈতিক কোড ছাড়া অন্য কোনো উপখাত বা কোডে টাকা ব্যয় করা যাবে না। সরকারি বিধিবিধান মেনে টাকা খরচ করতে হবে। টাকা ব্যয়ের সব ভাউচার অফিসে সংরক্ষণ করতে হবে যেন চাওয়া মাত্র পাওয়া যায়।

বরাদ্দকৃত টাকার ব্যয় বিবরণী ওয়েব বেইজড কম্পিউটারাইজড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেমে সাত দিনের মধ্যে এন্ট্রি দিতে হবে। ভ্যাট আইটি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারের নির্দিষ্ট খাতে জমা দিয়ে বিল সমন্বয় করতে হবে। প্রতিটি বিলের জিওবি বাবদ ২৫ শতাংশ ও আরপিএ বাবদ ৭৫ শতাংশ ব্যয় করতে হবে।

যেসব নির্দেশনা মানতে হবে-

ক) কোন অবস্থায় অতিরিক্ত অর্থ উত্তোলন/ব্যয় করা যাবে না।

খ) অর্থনৈতিক কোড ব্যতীত অন্য কোন উপখাত এবং কোডে ব্যয় করা যাবে না। বিধান অনুসরণপূর্বক অর্থ ব্যয় করতে হবে।

গ) এ ব্যয়ের যাবতীয় অডিট দপ্তরে সম্পাদিত হবে বিধায় খরচের সকল ভাউচার অফিসে সংরক্ষণ করতে হবে যেন চাওয়া মাত্র পাওয়া যায়।

ঘ) বাদকৃত অর্থ ব্যয়ের বিবরণী অবশ্যই ডিপিই-এর ওয়েব বেইজড কম্পিউটারাইজড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেমে দিনের মধ্যে এন্ট্রি নিতে হবে।

ঙ) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ভ্যাট/আইটি ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারের নির্দিষ্ট খাতে জমা প্রদান করে বিল নম্বর করতে হবে।

চ) অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে একটি বিলের মাধ্যমে জিওবি বাবদ ২৫% এবং আরপিও (জিওবি) বাবদ ৭৫% হারে মোট ব্যয় করতে হবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo