• শিশু সংবাদ
  • লিড নিউজ

পাঁচ দিন পর খোঁজ মিলেছে সন্তানকে রেখে যাওয়া লাপাত্তা বাবা-মার

  • শিশু সংবাদ
  • লিড নিউজ
  • ০৭ মার্চ, ২০২৩ ২০:০৬:০৭

ফাইল ছবি

মোঃ ইমরান মাহমুদ, জামালপুর: অবশেষে ৫ দিন পর খোঁজ মিলেছে জামালপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ২৮ দিন বয়সী কন্যাশিশুকে রেখে পালিয়ে যাওয়া বাবা-মার। তবে সন্তানকে ফিরে পেতে বিপাকে পড়েছেন তারা। ওষুধের টাকা জোগাড় করতে বাড়িতে গিয়েছিলেন, সোমবার (৬ মার্চ) ফিরে এসে দেখেন শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নবজাতক সেবাকেন্দ্রে। 

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন স্বজনদের দেওয়া ঠিকানার সাথে হাসপাতালের ভর্তি তথ্যের গড়মিল রয়েছে। তাই শিশুটিকে নিতে হলে ডিএনএ টেস্ট করতে হবে। 

হাসপাতাল সূত্র জানায়, সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে শ্বাসকষ্ট নিয়ে জামালপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে শিশুটিকে ভর্তি করান এক দম্পতি। হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে তাদের নাম রকিব-রোকসানা লেখা রয়েছে। গ্রামের বাড়ি জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার কয়রা। বুধবার (১ মার্চ) বিকেলে শিশুটিকে হাসপাতালে রেখে চলে যান তারা। পরে কাউকে না পেয়ে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় শেখ রাসেল বিশেষায়িত নবজাতক সেবাকেন্দ্রে।  হাসপাতালের কর্মকর্তারা এতদিন দেখভাল করলেও হদিস পাওয়া যায়নি কারও। 

তবে সোমবার (৬ মার্চ) হাসপাতালে ছুটে আসেন শিশুটির নানি রোকসানা ও মা শিফা। তারা দাবি করেন ওষুধ কিনতে বাড়িতে গিয়েছিলেন। আসতে দেরি হওয়ায় শিশুটির কাছে যেতে দিচ্ছেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

শিশুটির নানি বলেন, ওষুধের টাকার জন্য তিনি বাড়িতে গিয়েছিলেন। যাওয়ার সময় পাশে থাকা এক রোগীর স্বজনকে বলে যান। তবে টাকা জোগাড় করতে দেরি হওয়ায় তিনি এসে দেখেন তার নাতনিকে নবজাতক সেবাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন শিশুটিকে ফিরে পেতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন।

শিশুটির মা শিফা বলেন, আসার পর তাদের হাসপাতালের ভিতরে যেতে দিচ্ছে না। তাদের কথা কেউ বিশ্বাস করছে না। এতে তারা চিন্তায় রয়েছেন।

জামালপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, স্বজনদের দেওয়া তথ্যের সাথে হাসপাতালের ভর্তি তথ্যের গড়মিল রয়েছে। এছাড়াও বাচ্চার স্বজনরা বলছেন ওষুধের টাকার জন্য বাড়িতে গিয়েছিলেন যা মোটেও সত্যি নয়, কেননা নবজাতকের জন্য সকল ধরনের ঔষধ একশ পার্সেন্ট সাপ্লাই রয়েছে হাসপাতালে।

জামালপুর সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক রাজু আহমেদ বলেন, বাচ্চাটির পরিচয় সনাক্তে শিশুটির বাড়িতে তাদের অফিসাররা যাবেন। এছাড়াও প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্ট করা হবে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo