• বিশেষ প্রতিবেদন

পাবনায় সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ০৫ মার্চ, ২০২৩ ১৯:১৭:৪৩

ছবিঃ সিএনআই

তোফাজ্জল হোসেন বাবু, পাবনাঃ পাবনার চাটমোহরে সূর্যমুখী চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। কৃষকদের পরম যত্নে বেড়ে উঠেছে সূর্যমুখী ফুলের প্রতিটি গাছ। এই অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী ফুল চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলনও বেশ ভালো হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।

চলতি মৌসুমে উপজেলার ডিবিগ্রাম, মথুরাপুর ও মুলগ্রাম এলাকায় ২ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর ১ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে। এবার তেলবীজ কৃষি প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সূর্যমুখীর বীজ ও সার দিয়ে এই ফুলের চাষ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি দপ্তর। 

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ভাদড়া মাঠে শোভা পাচ্ছে সূর্যমুখী। বিশাল এলাকাজুড়ে চাষ করা হয়েছে এই ফুল। ফাল্গুনের প্রখর রোদে বাতাসে মাঝে মাঝে দোল খাচ্ছে মনকাড়া সূর্যমুখী ফুলগুলো। ক্ষণে ক্ষণে পাখি আর কীটপতঙ্গের দল ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে। এ যেন অপরূপ এক দৃশ্য,যেটি আকৃষ্ট করছে সূর্যমুখী ফুল বাগানের পাশ দিয়ে হেঁটে চলা পথচারীদের। 

কৃষক শফিকুল জানান, অন্যান্য ফসল আবাদের চেয়ে এই ফুল চাষে জমিতে সেচ ও সারের খরচ কম লাগে এবং রোগ বালাই কম। চলতি বছর আমি ২ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের আবাদ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ করে মাত্র একশ দিনেই প্রায় ৩০০ কেজি বীজ পাওয়ার আশা করছেন তিনি। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩০ হাজার টাকা। এছাড়াও ফুল গাছের ডাটা থেকে জ্বালানি (খড়ি) পাওয়া যায়। শফিকুলের সূর্যমুখীর চাষ দেখে অন্য কৃষকেরাও এই ফুল চাষে আগ্রহের কথা জানান। 

একই এলাকার কৃষক চানু মিয়া জানান, সেও এবার ১ বিঘা সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। কৃষি প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে সূর্যমুখী ফুলের বীজ ও সার পেয়ে খশি সে। সে আরো বলেন, স্বল্প ব্যয়ে অধিক ফলন পাওয়ার আশা করছি এবং অনেক লাভজনক তাই আমরা আগামীতেও এই ফুলের চাষ করব।

উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. সাঈদুর রহমান জানান, সূর্যমুখী ফুল চাষে রোগ বালাই কম। ফলন ভালো হওয়ায় স্বল্প খরছে অধিক লাভ। এছাড়াও এই ফুল থেকে উৎকৃষ্ট মানের তেল বীজ পাওয়া যায়। সূর্যমুখীর বীজ থেকে উৎপাদিত তেল স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। সেই সাথে এই তেল বিভিন্ন অসুখেরও প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ করে বলে জানান তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ.এ. মাসুম বিল্লাহ জানান, সূর্যমুখী ফুলের চাষ বাড়াতে কৃষকদেরকে বীজ ও সার সহায়তার পাশাপাশি কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ফলন বৃদ্ধি পেতে সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে। আগামীতে সূর্যমুখীর আবাদ আরো বাড়বে বলে আশা করছেন এই কর্মকর্তা।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo