• বিশেষ প্রতিবেদন
  • লিড নিউজ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় প্রায় ২০০ বিঘায় বোরো চাষাবাদ অনিশ্চিত

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • লিড নিউজ
  • ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ১৬:৩৭:৩৬

ছবিঃ সিএনআই

মো. ফারুক হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার ভারত  সীমান্ত ঘেষা জনপদ বিভিষনের অধিকাংশ মানুষই কৃষি কাজের সাথে জড়িত। এবছর বোরো আবাদ করতে গিয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছেন এখানকার কৃষকরা। তাদের জমিতে সেঁচের জন্য বসানো একটি গভীর নলকুপের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা পল্লী বিদ্যুৎ। সেঁচের অভাবে পতিত পড়ে আছে ৫০-৬০ জন কৃষকের প্রায় প্রায় ২০০ বিঘা জমি। বিদ্যুৎ এর দাবিতে কৃষকরা জমিতে মানববন্ধনও করেন। 

কৃষকরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা পল্লী বিদ্যুৎ কোন কারণ ছাড়াই গভীর নলকুপের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে।এতে জমিগুলো চাষাবাদ করতে না পারাই চরম বিপাকে এখাকার কৃষকরা। পাশের গভীর নলকুপের আওতায় জমিতে বোর আবাদ শেষ হলেও এ নলকুপের জমিগুলো পানি ছাড়া ফেটে চয়চির হয়ে রয়েছে। 

কৃষক শহিদুল ইসলাম  বলেন বিদ্যুৎ এর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। আশেপাশের সব জায়গায় ধান রোপণ করা হয়েগেছে কিন্তু আমরা সেচ সমস্যার কারনে এখনো কাজ শুরু করতে পারলাম না। তিনি আরও বলেন আমরা ধান রোপণ না করতে পারলে কি খাব কিভাবে চলবো বলে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে। 

জামাল নামে আরেক কৃষক বলেন যেখানে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন একখন্ড জমি অনাবাদি রাখা যাবে না, সেখানে আমরা প্রায় ৫০-৬০ জন কৃষক ১৫০-২০০ বিঘা জমি পল্লী বিদ্যুৎ এর সংযোগ বিচ্ছিন্নের কারনে চাষাবাদ করতে পারছি না। 

কৃষকদের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে নলকুপটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিলে বোরো আবাদ করে জীবন বাচাতে পারবে তারা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিশন মাঠে পল্লী বিদ্যুৎ একটি গভীর নলকুপের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় প্রায় ২০০ বিঘা জমি সেচের অভাবে বোরো আবাদ করা থেকে বঞ্চিত ৫০ কৃষক। গোমস্তাপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান নূহ  বলেন 

পল্লী বিদ্যুৎতের এমন কান্ডে রীতিমত হতবাক, একাধিকবার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করলেও কোন সদউত্তর বা কোন ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। সেঁচের আভাবে শত শত বিঘা জমিতে আবাদ বন্ধ হয়ে থাকা দুঃখজনক।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার সুভন কুমার মহন্ত  বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন বিষয়টি স্বীকার করলেও সম্পূর্ণটা দায়ী করছেন কৃষকদের। তিনি  জানান স্হানীয় জন প্রতিনিধি ও কৃষকদের সাথে জরুরি আলোচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংযোগ দেওয়ার ব্যবস্তা গ্রহণ করা হবে। 

গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আসমা খাতুন,  বলেন আমি ইতিমধ্যে বিভিষন গ্রামের কৃষকদের সেচের সমস্যা জানতে পেরেছি। তিনি আরও জানান তদন্ত করে  দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo