• জাতীয়

পলাতক জঙ্গিদের সনাক্তকরণে নাগরিকদের সহায়তা চেয়েছে পুলিশ

  • জাতীয়
  • ১৬ নভেম্বর, ২০২২ ১৮:১১:১০

ছবিঃ সিএনআই

নিউজ ডেস্কঃ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর পলাতক জঙ্গিদের সনাক্তকরণে নাগরিকদের সহায়তা চেয়েছে পুলিশ। বাংলাদেশ পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সহায়তার আহ্বান জানায়।

বাংলাদেশে চলমান বেশ কিছু উগ্রবাাদী ও জঙ্গি সংশ্লিষ্ট সংগঠনের মধ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সময়ে আটটি জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন এবং এর মধ্যে ‘হিযবুত তাহরীর’ অন্যতম। এই সংগঠনটিকে ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘হিযবুত তাহরীর’ এর বেশ কিছু সক্রিয় সদস্য ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকালে অনলাইনে সমাবেশ করেন। তাদের ভাষ্যমতে- “খিলাফত রাষ্ট্রের সংবিধান কিভাবে জনগণের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করবে, খিলাফত রাষ্ট্রের সংবিধান কিভাবে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও উন্নত অবকাঠামো নিশ্চিত করবে, খিলাফতে রাশিদাহ্ অতি সন্নিকটে এবং আসন্ন খিলাফত রাষ্ট্র কিভাবে মুসলিম উম্মাহ‘ কে ঐক্যবদ্ধ করবে’সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন। মোঃ ফয়সাল
উক্ত অনলাইন সমাবেশে কোরআন তিলওয়াত করেন।

পরবর্তীতে আবারো ২০২০সালের ১৬ অক্টোবর বিকালে অনলাইনে সমাবেশ করেন, মোঃ আবু জায়িদ তার ভাষ্যমতে বলেন, “দেশের অর্থনীতি আজ এই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে কেন?’’ এই বিষয়ে প্রায় ৩০ মিনিট বক্তব্য রাখেন। আঃ রহমান তার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলেন, ‘‘ধ্বংসপ্রায় অর্থনীতির পুনরুদ্ধার এবং নেতৃত্বশীল অর্থনীতি প্রতিষ্ঠায়
আসন্ন খিলাফত রাষ্ট্রের নীতিমালা’’ নিয়ে প্রায় ৩৩ মিনিট আলোকপাত করেন। মোঃ ইমাদুল আমিন তার মত করে প্রায় ২৩ মিনিট ধরে ‘‘খিলাফতে রাশিদাহ্ পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথে বাঁধাসমূহ ও সেগুলো উত্তরণে জনগণের প্রতি তাদের দিক নির্দেশনা’’ প্রদান করেন এবং হাফিজ আল রাজি আবারো উক্ত অনলাইন সমাবেশে কোরআন তিলওয়াত করেন।

উক্ত ঘটনার প্রেক্ষাপটে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর উগ্রবাদী কার্যক্রমম প্রচার-প্রচারণার জন্য ১। মোঃ আবু জায়িদ (৩৫-৪০) ২। শিবলি আহম্মেদ (৪০-৪৫) ৩। মোঃ ইমাদুল আমিন (৪০-৪৩) ৪। মোঃ ফয়সাল (২২-২৬) ৫। আঃ রহমান (২৫-৩০) এবং ৬। হাফিজ আল রাজি (৩০-৩৫)  এর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়।  মামলা দায়েরের পরই আসামীগণ বিভিন্ন অজ্ঞাত স্থানে আত্মগোপনে চলে যান।

আসামীরা দেশ হতে চলমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে উচ্ছেদ করে যেকোন মূল্যে কথিত ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশ রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্র, ভীতি ও দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্নভাবে পরিকল্পনা করে আসছে। এছাড়াও তারা সাধারণ জনগণকে তাদের সংগঠনের প্রতি এবং উগ্রবাদী কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষে  সাইবার স্পেস ব্যবহারের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।

 এ অবস্থায় মামলাটির তদন্ত সম্পন্ন ও নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর পলাতক আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সাধারণ মানুষের সহায়তা কামনা করছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo