• বিশেষ প্রতিবেদন

কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী গঙ্গাস্নান ও রাস মেলা

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ০৭ নভেম্বর, ২০২২ ১৬:৩৯:১১

ছবিঃ সিএনআই

মোঃমেহেদী হাসান (বাচ্চু) পটুয়াখালীঃপটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শ্রীকৃষ্ণের রাস মেলা ও গঙ্গাস্নান। আগত পূন্যার্থী, দর্শনার্থী, সাধু-সন্যাসী ও ভক্তবৃন্দের বরণ করতে আয়োজকরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। এ উৎসবকে ঘিরে কলাপাড়া ও পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটাকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে নতুন সাজে।

সর্বত্র বইছে উৎসবের আমেজ। পঞ্জিকা মতে সোমবার (৭ নভেম্বর)পূর্ণিমা শুরু হবে। আর পূর্নিমা থাকবে পরদিন মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর ) বেলা ১২টা পর্যন্ত। এ হিসাব মতে পূনার্থীরা মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর ) সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটায় সমুদ্রের নীল জলে স্নান পূন্যের আশায় ঝাপিয়ে পরবে।

এ বছর গঙ্গাস্নান ও রাস মেলায় লক্ষাধিক পূন্যার্থী, দর্শনার্থী, সাধু সন্যাসী ও ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটবে বলে আয়োজকরা জানান। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গঙ্গাস্নান ও রাসমেলায় আগতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তরফ থেকে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরী করা হয়েছে। যে কোন নাশকতা রোধে পুলিশের পাশাপাশি আনসার বিডিভি, র‌্যাব, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য কাজ করবে। আগত পূন্যার্থী, দর্শনার্থী, সাধু সন্যাসী ও ভক্তবৃন্দের স্বাস্থ্য সেবা দিতে একটি মেডিকেল টিমও থাকবে। এছাড়া কলাপাড়া- কুয়াকাটা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে চেক পোষ্ট বসানো হয়েছে। এদিকে যত্রতত্র গাড়ী পার্কিং ইতোমধ্যে পৌরসভা থেকে নির্দেশনা জারি করেছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অধিক লোক সমাগমের আশা করছেন মেলা উদযাপন কমিটি। ইতোমধ্যে মেলায় যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ভাসমান দোকানিরা আসতে শুরু করেছে।

কুয়াকাটা রাস পূজা ও রাস মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিপুল চন্দ্র হাওলাদার জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত পূন্যার্থীদের থাকা এবং খাওয়ার সু-ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাস পূজাঁ ও মেলা উদযাপনের লক্ষ্যে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোশিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, আমাদের হোটেল মোটেল গুলোতে ইতিমধ্যে বুকিং শুরু হয়েছে। আগত দর্শনার্থী ও পূন্যার্থীদের বরণ করতে তাদের হোটেল মোটেল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন,এটি একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। এটি এখন একটি সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে।

এ ব্যাপারে প্রশাসনের তরফ থেকে কয়েক দফা মিটিং করা হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর উৎসবকে নিরাপদ ও বিড়ম্বনা মুক্ত রাখতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। মহিপুর থানার ওসি মোঃ আবুল খায়ের জানান, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহলের পাশাপাশি পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য জানান, গঙ্গাস্নান ও মেলায় আগত পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উপজেলা, জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের সমন্বয় একটি নিরাপত্তা বেষ্ঠনী তৈরী করা হয়েছে। আশা করি কোন ধরনের সমস্য হবে না বলেন তিনি।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo