• খেলাধুলা

কাতার বিশ্বকাপের আগেই অপ্রতিরোধ্য মেসি

  • খেলাধুলা
  • ০৬ অক্টোবর, ২০২২ ১১:১১:৩৫

ছবিঃ সংগৃহীত

স্পোর্টস ডেস্কঃ কাতার বিশ্বকাপের আগেই অপ্রতিরোধ্য লিওলেন মেসি। ক্লাব ফুটবল জার্সিতে কিংবা আন্তর্জাতিকে সবখানেই দুর্দান্ত ছন্দ তারা। নিয়মিত গোল পাচ্ছেন ও করাচ্ছেন। নিজেকে নিয়ে যাচ্ছেন অনন্য উচ্চতায়।          

বুধবার রাতে বেনফিকার বিপক্ষেও গোল পেয়েছেন পিএসজির আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।  দুর্দান্ত এক গোলে দলকে এগিয়ে নেন মেসি। যদিও শেষ হাসি ফোটেনি প্যারিস শিবিরে। আত্মঘাতী গোলে মেসির সেই গোল শুধু ব্যক্তিগত অর্জনই রয়ে গেল।          

চ্যাম্পিয়নস লিগের ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে বেনিফিকার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে পিএসজিকে। মেসির এই দুর্দান্ত গোলের দিনেও নায়ক হয়েছেন বেনিফিকার গোলরক্ষক ওদিসিয়াস ভ্লাকোদিমোস । নয়তো বড় ব্যবধানেজয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত মেসির দল।          

দুই অর্ধে দুই গোলরক্ষক হয়ে উঠলেন চীনের প্রাচীর। করলেন দারুণ সব সেভ।   

ম্যাচে ঘরের মাঠে অনুকুল পরিবেশে ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের পেয়ে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে পর্তুগিজ চ্যাম্পিয়নরা। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে শুরু থেকে জমে ওঠে ম্যাচ।

গোলের জন্য প্রথম শট নেয় তারাই। অষ্টম মিনিটে গনসালো রামোসের শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন পিএসজির গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা।  

১৬তম মিনিটে মেসির ফ্রি-কিক বাধা পায় গোলবারে। গোলের জন্য এটাই পিএসজির প্রথম শট। দুই মিনিট পর দাভিদ নেরেসের শট দারুণ দক্ষতায় এক হাতে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন পিএসজি গোলরক্ষক। 

এর এক মিনিট পরেই পিএসজির আক্রমণত্রয়ী মেসি, নেইমার ও এমবাপ্পের ফুটবলশৈলী উপভোগ করে গ্যালারির দর্শকরা। 

২১তম মিনিটে এমবাপ্পেকে বল বাড়িয়ে সামনের দিকে ছুটে যান মেসি। নেইমারের পা ঘুরে ডি-বক্সের মাথায় বল পেয়ে বাঁ পায়ের দারুণ বাঁকানো শটে বেফিফিকার জালে বল জড়িয়ে দেন।

৩৭তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও দলকে সমতায় ফেরাতে পারেননি আন্তোনিও সিলভা।  দোন্নারুম্মার নাগালের বাইরে শট রাখতে পারেননি তিনি।

তবে হতাশ না হয়ে একের পর এক শাণিত আক্রমণ চালাতেই থাকে বেনিফিকা।  এর সুফলও পায় তারা।

৪২তম মিনিটে এনসো ফের্নান্দেসের ক্রসে লাফিয়েও মাথা ছোঁয়াতে পারেননি গনসালো রামোস। বলের লাইন থেকে সরতে পারেননি তার পেছনেই থাকা দানিলো পেরেইরা। এই ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে দিক পাল্টে বল জড়ায় জালে। কিছুই করার ছিল না দোন্নারুম্মার।

আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফেরে পর্তুগিজ দলটি।

এরপর রেফারির বাঁশিতে ১-১ সমতায় বিরতিতে যায় দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠে পিএসজি। ৪৮তম মিনিটে আশরাফ হাকিমির শট কোনোমতে ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক।  এরপর নেইমারের দর্শনীয় বাইসাইকেল কিক ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। 

এর তিন মিনিট পর বাইলাইন থেকে ফের হাকিমির কাট ব্যাক কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন বেনফিকা গোলরক্ষক। 

৫৫তম মিনিটে ফের নেইমারের দারুণ ফ্রি-কিক ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান ভ্লাকোদিমোস। ৬৯তম মিনিটে ফের মেসির পাসে ডি-বক্সের মাথায় বল পান এমবাপ্পে।  ফরাসি ফরোয়ার্ডের বাঁকানো শটও ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান ভ্লাকোদিমোস।  

দ্বিতীয়ার্ধে  পিএসজির ১২ শটের পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে।  একটিতেও সফল হতে দেননি বেনিফিকার এই গোলরক্ষক।

ফলে রেফারির শেষ বাঁশিতে ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে পিএসজি।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo