• জাতীয়
  • লিড নিউজ

কানাডায় যাচ্ছেন রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ’র পরিবারের আরও ১৪ সদস্য

  • জাতীয়
  • লিড নিউজ
  • ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২০:০১:৫৩

প্রতীকী ছবি

জাবেদ ইকবাল চৌধুরী ,কক্সবাজার:  কক্সবাজারে ক্যাম্পে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহর মা-সহ তার দুই ভাইয়ের পরিবারের আরও ১৪ সদস্য কানাডায় রওয়ানা দিয়েছেন  । এর আগে ৩১ মার্চ মুহিবুল্লাহর স্ত্রীসহ পরিবারের ১১ সদস্য কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। 

গত রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) তারা ঢাকার উদ্দেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছাড়েন বলে জানান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ। 

তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’-এর তত্ত্বাবধানে মুহিবুল্লাহ পরিবারের ১৪ সদস্যকে তাদের ব্যাটালিয়নের অধীনে ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে ঢাকায় নেওয়া হয়। সোমবার গভীর রাতে তারা কানাডার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।’

এই ১৪ সদস্যের মধ্যে রয়েছেন নিহত মুহিবুল্লাহর মা উম্মা ফজল এবং তার দুই ভাই হাবিব উল্লাহ এবং আহমাদ উল্লাহর স্ত্রী ও সন্তানরা।

২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কুতুপালং-১ (ইস্ট) লম্বাশিয়া ক্যাম্পের ডি-৮ ব্লকে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ। মিয়ানমারের মংডুতে স্কুলে শিক্ষকতা করতেন বলে রোহিঙ্গাদের কাছে তিনি ‘ মাস্টার মুহিবুল্লাহ ’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই মুহিবুল্লাহর স্বজন ও অনুসারীরা ক্যাম্প ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন। 

এআরএসপিএইচআরের বর্তমান  চেয়ারম্যান ডাক্তার জোবায়ের  জানান , ‘মুহিবুল্লাহর স্ত্রী, সন্তান, মা, ভাইসহ স্বজনদের ১৮ টি পরিবারের সদস্যরা কুতুপালং ক্যাম্পে নিরাপদ মনে করছেন না। এসব পরিবারের ৯৬ জন সদস্যকে বর্তমানে ক্যাম্পের বাইরে ট্রানজিট সেন্টারে  নিরাপদে রয়েছেন। তবে তারা সেখানে থাকতেও রাজি নন।’ 

তিনি আরো জানান,  " বাংলাদেশের বাইরে তৃতীয় কোনো দেশে যাওয়ার  তাদের ইচ্ছার কথা জাতিসংঘের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় তারা জানিয়েছেন।

এরপর গত মার্চে মহিবুল্লাহর স্ত্রী নাসিমা খাতুন, নয় ছেলেমেয়ে এবং এক মেয়ের জামাইসহ ১১ জন ইউএনএইচসিআরের তত্ত্বাবধানে কানাডায় পাড়ি দেন। এবার রওয়ানা দেন আরো ১৪ জন। 

এরপর যে কোন সময় অন্য দেশে চলে যাওয়ার  কথা রয়েছে কুতুপালং ট্রানজিট সেন্টারে অপেক্ষামান মুহিবুল্লাহর চার বোনের জামাইসহ স্বজনের ৮২ জন সদস্য। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo