ছবিঃ সিএনআই
মেজবা রহমান,বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:
দীর্ঘ দিন ধরে দূষিত পানি নিয়ে দুর্ভোগে ভুগছিল গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় নদী-নালা ও পৌরসভার সাপ্লাইয়ের পানি পানের জন্য সম্পূর্ণ অনুপযোগী। এছাড়াও ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক থাকায় শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগছিলেন শিক্ষার্থীরা।
তবে সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যাবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর আগে দীর্ঘদিন ধরে পানি কিনে খেতে হতো শিক্ষার্থীদের। ফলে নিত্য দিনের খরচের সাথে বাড়তি খরচ টানতে হয় তাদের। একের পর এক বিশুদ্ধ পানির ব্যাবস্থার জন্য উপাচার্য বরাবর আবেদন পত্র জমা দেন তারা । আবেদনের প্রেক্ষিতে উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুবের নির্দেশে রিভার্স অসমোসিস পদ্ধতিতে এই ব্যাবস্থা নেওয়া হয়। ফলে একদিকে যেমন পাঁচটি হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা সুপেয় পানি পাচ্ছেন, অন্যদিকে সহজেই তৃষ্ণা মিটিয়ে নিতে পারছেন প্রতিদিন ক্লাস করতে আসা শিক্ষার্থীরা।
উপাচার্যের এমন ব্যাতিক্রম উদ্যোগে সন্তুষ্ট শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে, এই অনন্য উদ্যোগের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে লেগে থাকা খাবার পানির সংকট থেকে মুক্তি পেয়েছেন তারা। লোক প্রশাসন বিভাগের জুবায়েদ মোস্তফা বলেন, গোপালগঞ্জের পানি সত্যিকার অর্থে বলতে ব্যবহারের অযোগ্য। দীর্ঘদিন ধরে এই পানির নানা সমস্যায় আমরা ভুগেছি। প্রায় সময়েই আমরা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগি। তবে সম্প্রতি সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে।
ছাত্র কল্যাণ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো: শরাফত আলী বলেন, আমদের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে বিশুদ্ধ পানির অভাবে কষ্ট সহ্য করেছে। তাদের নানাবিধ সমস্যা ও শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তান তুল্য। তাদের পাঠ কার্যক্রমের পাশাপাশি শারীরিক দিকে খেয়াল রাখাও আমাদের দায়িত্ব । তাদের সুবিধার্থে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোতে এই বিশুদ্ধ পানির ব্যাবস্থা করেছি।
প্রসঙ্গত, রিভার্স অসমোসিস ওয়াটার পিউরিফাইয়ার মূলত উন্নত বিশ্বে ব্যাপক পরিচিত একধরনের পানি বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া।
পানি ফুটানোর পরেও তাতে অনেক ক্ষতিকর পদার্থ থেকে যায় যা আমদের মানব দেহের জন্য অস্বাস্থ্যকর। তবে এই রিভার্স অসমোসিস সিস্টেমে কোন প্রকার তাপ উৎপাদন ছাড়াই পানিকে সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় পানি বিশুদ্ধ করার পর পানিতে অপ্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ থাকে না, যা আমাদের কিডনির ওপর অনেক চাপ কমিয়ে দেয়। এই বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়ায় বেশী ঘনত্বের দ্রবণ কম ঘনত্বের দিকে যায়।
জব ডেস্কঃ সীমান্ত ব্যাংক পিএলসিতে ‘ব্রাঞ্চ ম্য...
পাবনা প্রতিনিধিঃ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পাবনার ঈশ্...
নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলে আন্ত:জেলা মোটরসাইকেল চোর চক...
ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর জেলা পরিষদের এক কর্মকর্তা...
মন্তব্য ( ০)