• প্রশাসন

“নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত পরিদর্শনে বান্দরবানের ডিসি”

  • প্রশাসন
  • ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২৩:৪৫:০৭

ছবিঃ সিএনআই

জাবেদ  ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়িঃ নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে তুমব্রু সীমান্তের বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি। এসময় তিনি নো ম্যান্স ল্যান্ড সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখেন এবং ঘুমধুম থেকে স্থানান্তরিত হওয়া উখিয়ার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়  এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। জেলা প্রশাসকের সাথে বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস, থানা অফিসার ইনচার্জ টান্টু সাহা, ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ, সাবেক চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরীসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

সীমান্ত পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি ও বাংলাদেশ সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারনে গত শনিবার শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উখিয়ার কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় ও উত্তর ঘুমধুম সরকারী,প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সীমান্তের বিষয় গুলো পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে। সাধারন মানুষ যেন নিরাপদে থাকে, এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। এছাড়া সীমান্ত থেকে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবার গুলো সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বাচাই করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে পরিবার গুলোর মতামতকে প্রধান্য দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। 

এর আগে রবিবার সকালে সীমান্তের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়িতে উপজেলা পরিষদে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় স্থানীয়দের সরিয়ে নেওয়াসহ বৈঠকে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব জেলা প্রশাসক বরাবরে পাঠানো হয়। 

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস জানান, গত রবিবার জরুরী বৈঠকে সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ পরিবার গুলোকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব আসে জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে তাদের সরিয়ে নেয়া হতে পারে। 

জেলা পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম জানান, সীমান্তে গোয়েন্দা নজরধারী বাড়ানো হয়েছে এবং পুলিশ বিজিবি’র সাথে সমন্বয় করে সীমান্তে কাজ করছে।

আর এদিকে, সোমবার ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত থেমে গুলাগুলি শব্দ শুনতে পাই স্থানীয়রা। সোমবার  সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বান্দরবান জেলা প্রশাসক সীমান্তে পরির্দশে পৌঁছার দেড় ঘন্টা আগে সীমান্তের ওপারে গুলাগুলি শব্দ বন্ধ হয়। পরিদর্শন করার সময় গোলাগুলির শব্দ বন্ধ থাকলেও টিম চলে যাওয়ার পর বিকেল সাড়ে ৩ টার পর আবারো গুলাগুলি শব্দ শুনতে পাই স্থানীয়রা। 

প্রসঙ্গ, গত শুক্রবার রাতে গোলার আঘাতে জিরোলাইন ক্যাম্পের এক রোহিঙ্গা যুবক মারা যাওয়ার পর সেখানে থাকা রোহিঙ্গা পরিবার ও স্থানীয়বাসীন্দাদের মাঝে এখনো আতঙ্ক উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছে বলে স্থানীয় এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo