• কূটনৈতিক সংবাদ

মিয়ানমার ফিরতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা রোহিঙ্গাদের

  • কূটনৈতিক সংবাদ
  • ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১২:৪৬:৪৯

ছবিঃ সিএনআই

জাবেদ ইকবাল চৌধুরী,কক্সবাজারঃ তৃতীয় কোনো দেশ নয়, নিজেদের দেশ মিয়ানমারে নিরাপত্তা,অধিকার নিয়ে ফিরে যেতে চাই। জাতীয়তা,মৌলিক অধিকার,সম্পদ ফিরিয়ে দিয়ে মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে আমাদের দাবি মেনে নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করি। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ২৪ দেশের সেনা কর্মকর্তাদের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে তাদের এসব কথা বলেন রোহিঙ্গা নেতারা।

রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার শফিক জানান,"আমরা সেনা কর্মকর্তাদের বলেছি,আমাদের নিরাপত্তার সহিত মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে সেদেশের সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সব মহলের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা রোহিঙ্গা জাতি হিসেবে বারবার নির্যাতিত নিপীড়িত হয়ে আসছি সেসব বর্ণনাও সেনা কর্মকর্তাদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে,৪৬তম ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মিস ম্যানেজমেন্ট সেমিনারে অংশ নেওয়া ২৪টি দেশের সেনা কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ও যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান চার্লস এ. ফ্লিনের নেতৃত্বে গতকাল সকাল ১১টায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ (বর্ধিত) তে দরবার হলে মতবিনিময় সভায় অংশ নেয়। সেখানে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি ও ভাসানচরের ক্যাম্প নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় আইএসসিজি'র  উপদেষ্টা জাতিসংঘের ৯ টি দাতা সংস্থার কার্যক্রম বিষয়ে সেনা কর্মকর্তাদের অবগত করেন। তাছাড়া রোহিঙ্গাদের সাড়াদান কর্মসূচি সহ উখিয়া ও টেকনাফের সকল ক্যাম্পের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন তিনি।

আলোচনা সভা শেষে প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা নেতাদের সাথে কথা বলেন। এসময় রোহিঙ্গা নেতারা নিজ দেশ মিয়ানমার ফিরে যেতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ ও সহযোগিতা কামনা করেন। পরে প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা ক্যাম্প ত্যাগ করেন।

ক্যাম্প পরিদর্শনের আগে সকাল সাড়ে ৮টায় হোটেল রয়েল টিউলিপে ‘ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক এই সেমিনারের দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

গত ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর র‍্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিন দিনব্যাপী এই সেমিনারের উদ্বোধন করেন। 

ইন্দো প্যাসিফিক আর্মিস ম্যানেজমেন্ট হল অন্যতম প্রধান সেনা কর্মকাণ্ড, যা ইন্দো-প্যাসিফিক আঞ্চলিক স্থল বাহিনীর সিনিয়র সামরিক নেতৃত্বের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতার বিষয়ে মতামত ও ধারণা বিনিময়ের জন্য একটি ফোরাম। আইপিএএমএস-এর উদ্দেশ্য পারস্পরিক বোঝাপড়া, সংলাপ এবং বন্ধুত্বের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।

বাংলাদেশ তৃতীয়বারের মতো সেমিনারের সহ-আয়োজক। এর আগে ১৯৯৩ এবং ২০১৪ সালে এই ইভেন্টের সহ-আয়োজক ছিল বাংলাদেশ।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo