অর্থের অভাবে বুয়েটে পড়া অনিশ্চিত, পাশে দাঁড়ালেন কুমারখালীর ইউএনও

ছবিঃ সিএনআই

রবিউল আলম ইভান, কুষ্টিয়াঃ কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের বেলগাছি গ্রামের মো. ইসরাইল হোসেনের ছেলে মো. এনামুল হক। তিনি বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু ভর্তি পরবর্তী অর্থাভাবে পড়াশোনা বন্ধের পথে। এই সংবাদ শোনার পরই বুয়েট শিক্ষার্থী মো. এনামুল হকের পাশে দাঁড়ালেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল।

বুধবার সকালে ডেকে পাঠান কুমারখালী উপজেলায় তার অফিসে। এনামুল ইউএনও কার্যালয়ে আসলে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ইউএনও বিতান কুমার মন্ডল। পাশে থাকার আশ্বাস দেন এনামুলকে। ইউএনও বিতান কুমার মন্ডল পড়াশুনার জন্য শিক্ষার্থী এনামুলের হাতে তুলে দেন নগদ অর্থ।

জানা যায়, এনামুলেন বাবা একজন ইজিবাইক চালক। এক বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে এনামুল ২য় সন্তান। তিনি ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় কুষ্টিয়া জিলা স্কুল থেকে (বিজ্ঞান বিভাগ) জিপিএ ৫ অর্জন করেন ও ২০২১ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে গোল্ডেন জিপিএ -৫ অর্জন করেন। মেধাবী ও কৃতি শিক্ষার্থী এনামুলের বাবা একজন ইজিবাইক চালক হওয়ায় অর্থাভাবে বুয়েটে পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে সোস্যাল মিডিয়ায় এনামুলের অসহায়ত্বের এমন খবর প্রকাশিত হলে নজরকাড়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডলের। তাঁকে পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন ইউএনও।

সেই প্রতিশ্রুতি অসুযাহর বুধবার এনামুলকে নিজ কার্যালয়ের ডেকে পাঠান ইউএনও। পরে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও নগদ ১০ হাজার টাকা সহযোগীতা করেন তিনি। এবিষয়ে বুয়েট ছাত্র এনামুল হক বলেন, বাবা ইজিবাইক চালক হওয়ায় খুব ছোট থেকে দারিদ্র্যতার সাথে যুদ্ধ করে পড়াশোনা চালিয়ে আসছি। অনেক গুণীমানুষের সহযোগীয় আমার এপর্যন্ত আশা। সকলের দোয়ায় বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু বুয়েট পড়া খুব ব্যয়বহুল হওয়ায় আর্থিক সংকটে পড়েছি। বুয়েটে সেটেল হতে পারলে টিউশনি করে চলতে পারব।্

তিনি আরো বলেন মানবিক ইউএনও স্যার আমার অসহায়ত্বের খবর পেয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি খুব আনন্দিত ও গর্বিত। প্রতিষ্ঠিত হলে ভবিষ্যতে আমিও মানুষের পাশে দাঁড়াবো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল বলেন, উপজেলা প্রশাসন সব সময় মেধাবীদের পাশে ছিলো, আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। কৃতি ছাত্র এনামুলকে প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার টাকা সহযোগীতা করা হয়েছে। প্রয়োজনবোধে ভবিষ্যতে এই সহযোগীতা  অব্যাহত থাকবে।