• অর্থনীতি
  • লিড নিউজ

পাঁচ দেশ থেকে হবে খাদ্য আমদানি : মন্ত্রিপরিষদ সচিব

  • অর্থনীতি
  • লিড নিউজ
  • ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৭:০১:৫০

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ রাশিয়া, ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম এই পাঁচ দেশ থেকে খাদ্য আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে এ বিষয়ে চুক্তি হয়েছে।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা চেক করে নিয়েছি রাশিয়া থেকে খাদ্য আমদানি করলে কোনো রকমের অসুবিধা হবে না। মিয়ানমার থেকে আসছে আতপ চাল। থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং ভারত থেকেও চাল কেনার চুক্তি হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, দুই/একদিনের মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় খাদ্যের বিষয়ে ব্রিফিং করবে। তারা আজকে আমাদের জানিয়েছেন, ১৯ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টনের মতো খাদ্য মজুত আছে।

‌‘সম্প্রতি চালের দাম ৪-৫ টাকা কমেছে ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কারণে। এর ফলে একটা বড় সংকট মার্কেট থেকে সরে গেছে। অ্যাপারেন্টলি দেখা যাচ্ছে এটি একটি ভালো ফল দিচ্ছে। যেহেতু খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি আগামী দুই মাস বা পরে আর দুই মাস...। তিন-চার মাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমাদের প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্যের প্রয়োজন হবে।’ যোগ করেন তিনি।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আজকের সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, অলরেডি এটা রিপ্লেস করার মতো চুক্তিও করে ফেলেছে এবং ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে দিয়েছে। সুতরাং আগামী নভেম্বর থেকে আমরা যে চিন্তা করছি একটা খাদ্য সংকট হতে পারে বিশ্বব্যাপী, আল্লাহর রহমতে আমরা একটা কমফোর্টেবল সিনারিও পেয়েছি। আমাদের ওয়ার্ক অর্ডার এবং খাদ্য পাওয়ার নিশ্চয়তা এসেছে। রাশিয়া, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম থেকে চাল এবং গম নিশ্চিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমদানির পাশাপাশি আমনও চলে আসবে। আমন কম হলেও বড় একটা বড় পোরশন (অংশ) আসবে। সবমিলিয়ে খাদ্য সিনারিওটা আল্লাহর রহমতে কমফোর্টেবল হবে। তারপরও আরও দুই-একটা জায়গা থেকে খাদ্য ব্যবস্থা করে রাখতে বলা হয়েছে। কোনো রকমের চান্স নেওয়া যাবে না। কোনো কারণে ধরেন দুই-একটা ওয়ার্ক অর্ডার ফেল করে, তাহলে অল্টারনেটিভলি অন্য জায়গা থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে আমাদের মজুত ঠিক রাখা যায়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যে পরিমাণ খাদ্য আমাদের গোডাউন থেকে যাবে, সে পরিমাণ খাদ্য এবং সেফটির জন্য আরও এক্সেস (অতিরিক্ত) কেনার সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। এখন যে চুক্তি বা এমইউ হয়ে গেছে তার জন্য আর সর্টেজ (খাদ্য সংকট হবে না) হবে না আল্লাহর রহমতে।

প্রধানমন্ত্রী খাদ্যের বিষয়ে কী বলেছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, উনি (প্রধানমন্ত্রী) স্পেসিফিক্যালি (নির্দিষ্টভাবে) বলেছেন, আমরা যে খাদ্য রিপ্লেসমেন্ট করছি শুধু সেটার ওপর নির্ভর করা যাবে না। আমরা কমফোর্টেবল সিজন থাকলে আরও দুই-একটা জায়গা থেকে খাদ্য কেনার ইনিশিয়েটিভ (উদ্যোগ) নেওয়া হোক। কোনো কারণে আল্লাহ না করুক চারজন বা পাঁচজনের মধ্যে কেউ যদি বলে আমি দিতে পারবো না, তখন যাতে আমরা ঝামেলায় না পড়ি। সুতরাং প্রয়োজন হল এক্সেস কিছু খাদ্য কেনা, এটা আমাদের জন্য কমফোর্ট সিনারিও হবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo