• অপরাধ ও দুর্নীতি

শিশু শিক্ষার্থী শিহাব হত্যা মামলায় ৪ আসামির আত্মসমর্পণ, জামিন নামঞ্জুর

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ১১ আগস্ট, ২০২২ ০১:০৫:৫৮

ছবিঃ সিএনআই

মোঃ রাশেদ খান মেনন (রাসেল),টাঙ্গাইলঃ টাঙ্গাইলে বহুল আলোচিত সৃষ্টি আবাসিকের স্কুল ছাত্র শিহাব হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত চার আসামি আত্মসমর্পণ করেছে।

বুধবার (১০ আগস্ট) বিকালে টাঙ্গাইলের ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মাসুদ পারভেজ এর আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন প্রার্থনা করেন। উভয় পক্ষের আইনজীবীর যুক্তি তর্ক শোনার পর বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। বাদি পক্ষের আইনজীবী মো. রাসেল রানা আত্মসমর্পণ ও জামিন নামঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আত্মসমর্পণকারী এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- মামলার ২ নং আসামি বিপ্লব (৩০), ৩ নং আসামি আশরাফ (৩০), ৪ নং আসামি মাসুম (৪০) ও ৬ নং আসামি বিজন (৪০)। আত্মসমর্পণের আগে মামলার এজাহারভূক্ত আসামি বিজন বলেন, আমরা এতোদিন নিয়মিত স্কুলে গিয়েছি, ক্লাস নিয়েছি। পরে গত ৩০ জুন উচ্চ আদালত (হাইকোর্ট) থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেই। (১০ আগস্ট) টাঙ্গাইলে জজ কোর্টে আত্মসমর্পণ ও জামিনের আবেদন করেতেছি।

নিহত শিহাবের বাবা ইলিয়াস হোসেন বলেন, পুলিশ সৃষ্টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার রিপনের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে, তাই আর কোন আসামি গ্রেপ্তার করে নাই। আল্লাহর ইশারায় তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ২০ জুন শহরের সুপারি বাগান এলাকায় সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের আবাসিক ভবনের সাততলা থেকে শিশু শিক্ষার্থী শিহাব মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। শুরু থেকেই শিশুটিকে হত্যার অভিযোগ তুলে আসছিল তার পরিবার। এঘটনায় প্রাথমিক পর্যায়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশের পর রবিবার বিকেলে র‌্যাব সাতজন শিক্ষক ও পুলিশ দুইজন শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে র‌্যাব তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কোনও তথ্য না পাওয়ায় তাদের সাতজনকে ছেড়ে দেয়। পরে ২৭ জুন নিহত শিহাবের মা বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হচ্ছেন- সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের আবাসিক শিক্ষক আবু বক্কর, বিপ্লব, আশরাফ, মাসুদ, মতিন ও বিজন। পুলিশ মামলার আগে শিক্ষক নাসির ও আবু বক্করকে আটক করলেও মামলায় নাসিরের নাম না থাকায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট শরিফুল ইসলাম রিপন।

 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo