• স্বাস্থ্য

হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে? সাবধান হোন

  • স্বাস্থ্য
  • ০৭ আগস্ট, ২০২২ ২৩:১৭:০৬

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ হঠাত্ করেই হাত ও পা অবশ হয়ে যায়। অনেকক্ষণ কোথাও বসে থাকলে কিংবা চাপ পড়লে হাত ও পায়ের স্নায়ু সংকুচিত হয়। যা থেকে অবশ হয়ে যেতে পারে। আবার আঘাত পেলে, সংক্রমণ কিংবা  বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে এলেও হাত ও পা অবশ হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 

হাত ও পা অবশ হলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ঠিক হয়ে যায়। তাই বিষয়টি অবহেলায় এড়িয়ে যাই আমরা। তবে এই অবশ হয়ে যাওয়া বিশেষ কোনও রোগের উপসর্গও হতে পারে। 

বিশেষজ্ঞরা জানান, হাত ও পা অবশ হওয়ার অনুভূতি যদি প্রায়ই ঘটতে থাকে তবে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। চিকিত্সকরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সঠিক কারণ নির্ণয় করবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। কারণ অবশ হওয়া সাময়িক লক্ষণ হলেও এটি বড় কোনও রোগের লক্ষণ হতে পারে। 

ডায়াবেটিস

ডায়াবেটিস রোগীদের পেরিফেরাল থাকে। যা স্নায়ু রোগের সাধারণ কারণ। পায়ের পাতা অবশ হওয়ার লক্ষণ এই কারণেই হয়। এক্ষেত্রে পায়ের পাতা অবশ হয়ে উপরের দিকে উঠে আসে।

 

নিউরালজিয়া

সংক্রমণ এবং বয়সের কারণে হতে পারে নিউরালজিয়া রোগ। এর কারণে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যা তীব্র ব্যথা ও জ্বালাপোড়ার কারণ। হাত ও পাসহ শরীরের যেকোন স্থানেই অবশ মনে হতে পারে।

সিস্টেমিক ডিজিজ

কিডনি রোগ, ভাস্কুলার ডিজিজ, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সিস্টেমিক ডিজিজের অন্তর্ভুক্ত। এমনকি ক্যান্সার সৃষ্টিকারী টিউমারও স্নায়ুতে চাপ সৃষ্টি করে। যার ফলে হাত ও পা অবশ হওয়ার অনুভূতি দেখা যায়।

স্ট্রোক

হৃদপিণ্ডে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ না হলে স্ট্রোক হয়। রক্তনালীতে ব্লকেজ ধরা পড়লে এমনটা হতে পারে। স্ট্রোক হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণই হলো বাম হাত অবশ হওয়া। এই অবশ অনুভূতি হাতের তালু পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। এই সময় দৃষ্টিশক্তির পরিবর্তন হয়, শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়, কথা বলার সমস্যাও হয়। ধীরে ধীরে হাত, মুখ ও পা অবশ হয়ে যায়। এমন লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

লাইম ডিজিজ

লাইম ডিজিজ হচ্ছে পতঙ্গবাহিত ইনফ্লামেটরি ডিজিজ। এটি দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে। জ্বর, পেশীতে ব্যথা, ঘাড় শক্ত হওয়া এই রোগের লক্ষণ। সেই সঙ্গে স্নায়ুর জটিলতাও দেখা দেয়। যা থেকে হাত ও পা অবশ হয়ে যায়। 

টারসাল টানেল সিনড্রোম

এই সিনড্রোমকে পোস্টেরিওর টিবিয়াল নিউরালজিয়াও বলা হয়। এই টানেল পায়ের পাতার পেছনে  অংশে গোড়ালির ভেতরের দিকে থাকে। এই রোগে গোড়ালি অবশ হয়ে যায়। যা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে।  স্নায়ুরও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo