• জাতীয়

চট্টগ্রামে হোটেল ম্যানেজারকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি, আটক ২

  • জাতীয়
  • ০৫ জুলাই, ২০২২ ১৬:৩৮:৫২

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকায় এক হোটেল ম্যানেজারকে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ দুজনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। সোমবার রাতে দক্ষিণ কাট্টলি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। 

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, ভিকটিম মো. মাহবুব আলম পেশায় হোটেল ম্যানেজার। প্রায় ২ বছর আগে পাহাড়তলী এলাকার রিংকু নামে এক নারীর সঙ্গে মাহবুবের পরিচয় হয় এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। এ সম্পর্কের জেরে গত ৪ জুলাই মাহবুব চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলীর দক্ষিণ কাট্টলি এলাকায় রিংকুর ভাইয়ের ভাড়া বাসায় বেড়াতে যান। বাসায় রিংকু মাহবুবকে আপ্যায়নের একপর্যায়ে হঠাৎ রাব্বি চৌধুরী শাওন, মো. কায়সার চৌধুরী ও আবদুলসহ কয়েকজন বাসায় প্রবেশ করে। তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মাহবুবকে হেনস্তা এবং বিভিন্ন ধরনের কুৎসিত কথাবার্তা বলতে থাকে। মাহবুব তাদের কথার প্রতিবাদ করলে আসামিরা মারধর করে। একপর্যায়ে বাসায় আটক করে ভেতর থেকে দরজা লক করে দেয়। 

তিনি বলেন, আসামিরা মাহবুবের পকেট থেকে মোবাইল ও মানিব্যাগে থাকা নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া ব্যাংকের ৩টি ডেভিড কার্ডের পিন কোড নম্বরের জন্য মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে মাহবুবের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিলে তাকে ছেড়ে দেবে বলে জানায়। এরপর ভিকটিম মাহবুব টাকা দিতে সম্মত হয় এবং আসামিদের কথামত তার ভাই ও বন্ধুকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে রিংকুর বাসায় আসতে বলে। এর মধ্যে আসামিরা কৌশলে ৩৬ হাজার টাকা বিকাশে নিয়ে নেয়। 

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, মাহবুবের ভাই ও বন্ধু একপর্যায়ে জানায় আপাতত দুই লাখ টাকা যোগাড় করতে পেরেছে। আসামিরা তাদের নগদ ২ লাখ টাকা নিয়ে দ্রুত আসতে বলে। এর মধ্যে মাহবুবের বড় ভাই আলম ও বন্ধু আশরাফুজ্জামান শাওন ঘটনাটি র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামকে জানান।

তিনি বলেন, এসব তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাবের এর একটি আভিযানিক দল অভিযোগকারীদের নিয়ে রিংকুর ঠিকানায় আসে। এ সময় তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা নেওয়ার আগ মুহূর্তে হাতেনাতে ঘটনাস্থল থেকে মো. রাব্বি চৌধুরী শাওন (২৭) ও মো. কায়সার চৌধুরী নামে দুইজনকে আটক করে। এসময় আহত অবস্থায় ভিকটিম মাহবুবকে উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে মোবাইল, মানিব্যাগ এবং ৩৬ হাজার টাকা এবং নগদ মুক্তিপণ হিসেবে দেওয়া ২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। বাকি আসামিদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo