• স্বাস্থ্য

গর্ভাবস্থায় বালিশের সঠিক ব্যবহার জানুন

  • স্বাস্থ্য
  • ১৯ জুন, ২০২২ ০০:০১:১৯

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ গর্ভাবস্থা নারীর জন্য় চ্যালেঞ্জিং একটি সময়। টানা নয় মাস নিজের ও গর্ভস্থ সন্তানের সুরক্ষা নিশ্চিন্তে সারাক্ষণই ভাবতে হয়। প্রয়োজনীয় বিকাশ হচ্ছে কিনা, সঠিক পুষ্টি পাচ্ছে, ভ্রুণের  বাহিক্য কোনও ক্ষতি হচ্ছে কিনা সবকিছু মাথায় রাখতে হয়। তাই এই সময় গর্ভবতী মায়ের অতিরিক্ত যত্ন প্রয়োজন। তার ঘুম ও বিশ্রামের পরিবেশও হতে হয় আরামদায়ক। 

গর্ভাবস্থায় মায়ের ঘুমের দিকে বাড়তি সতর্ক হতে হয়। কারণ গর্ভের সন্তান প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পাচ্ছে কিনা তাও নির্ভর করে মায়ের শোয়া কিংবা বসার উপর। মায়ের ঘুমের ভঙ্গি সঠিক না হলে হাতে পারে বিপদও। 

গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন হয়। গর্ভবতী মায়ের হাড়ও নরম থাকে। তাই বেকায়দায় ঘুম মায়ের শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করে। সঙ্গে সন্তানও যথেষ্ট অক্সিজেন পেতে ব্যর্থ হয়। 

গর্ভাবস্থায় মায়ের ভালো ঘুমের জন্য পরিবেশ, বিছানা, এমনকি বালিশের আয়োজনও ভিন্ন রাখতে হয়। এই সময় গর্ভবতী মা অতিরিক্ত বালিশ নিয়ে ঘুমাতে বেশি আরাম পান। আবার গর্ভাবস্থার আরামদায়ক বালিশও পাওয়া বাজারে। 

বিশেষজ্ঞরা জানান, গর্ভাবস্থার বালিশ মায়ের শরীরের পরিবর্তিত রূপ এবং ভাঁজ অনুসারে আরাম দেবে। মায়ের ঘুমের বিভিন্ন অবস্থানকে সাপোর্ট দেবে। যা প্রসূতি মায়ের ঘুমকে আরামদায়ক করে তোলে।

 

গর্ভাবস্থায় বেশি বালিশ ব্যবহার শুরু করতে হয় যখন মায়ের ঘুম ও শোয়ায় সমস্যা হয়। মায়ের পর্যাপ্ত ঘুমের বাধা হচ্ছে, অস্বস্তিবোধ হচ্ছে এমন হলে অতিরিক্ত বালিশ ব্যবহার করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা জানান, গর্ভাবস্থার প্রায় ২০ সপ্তাহের দিকে পেট প্রসারিত হতে শুরু করে। ওজন বেড়ে লিগামেন্টগুলোতে ও শরীরের অন্য অংশে ব্যথা হয়। তখনই অতিরিক্ত বালিশ বা গর্ভাবস্থার জন্য বাজারে পাওয়া বালিশ ব্যবহার করা আরামদায়ক হয়।

গর্ভাবস্থার বালিশ সাধারণ বালিশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত লম্বা হয়। এই বালিশ ব্যবহারে গর্ভবতী মায়ের আরও কিছু উপকার হয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 

ব্যথা ও যন্ত্রণা উপশম হয়

গর্ভাবস্থায় ওজন বেড়ে যায়। ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মায়ের পিঠে, পায়ে ও নিতম্বে চাপ পড়ে। পায়ে টান লাগে। ভালো ঘুমের জন্য় এই অংশগুলোকে বিশ্রাম দিতে হয়। গর্ভাবস্থার বালিশ ব্যবহার করলে এই অংশগুলোতে আরাম মেলে এবং ব্যথা উপশম হয়।

দীর্ঘ ঘুম

গর্ভাবস্থায় মায়ের পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। শরীরে আরাম না হলে মায়ের ঘুম বারবার ভেঙে যেতে পারে। এই অবস্থায় বালিশ আরামদায়ক হলে দীর্ঘসময় ঘুম হয়। নিরাপদ গর্ভাবস্থার মূলে থাকে  পর্যাপ্ত বিশ্রাম বা ঘুম। 

রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়

গর্ভাবস্থায় পাশ ফিরে ঘুমাতে হয়। এতে রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়ে। গর্ভবতী মাকে পাশ ফিরে ঘুমানো পরামর্শ দেওয়া হলেও পেট বড় হওয়ার কারণে তা অস্বস্তি বোধ হয়। এই সময় নরম বালিশ ব্যবহার করতে হবে। যা আরাম দেবে। শরীরে রক্ত ​​সঞ্চালনও সহজ হবে। 

প্রসবের পর সহায়ক হবে

শিশুর জন্মের পরও এই বালিশ কার্যকর হবে। বিশেষ করে স্তন্য পান করানোর সময় এই বালিশ  সঠিক অবস্থানে রাখতে সহায়তা করে। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo