• রাজনীতি

জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

  • রাজনীতি
  • ১৮ জুন, ২০২২ ২৩:৫৮:৫৫

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার করার লক্ষ্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে বিএনপি। তারই অংশ হিসেবে শনিবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির প্রতিনিধি দল। 

বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজ ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক দল জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমাদের দেশের মানুষের ওপরে যে দুঃশাসন চেপে বসে আছে অনির্বাচিত একটি সরকার। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের যে লক্ষ্য, আশা-আকাঙ্ক্ষা সেগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে মানুষের অর্থনৈতিক দুরবস্থা, অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়ে। শিক্ষা-স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে, প্রশাসন বিচার ব্যবস্থাকে দলীয়করণ করে, রাষ্ট্রকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চলেছে। তাদের বিরুদ্ধে সমস্ত রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার ব্যাপারে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে একমত হয়েছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এ বিষয়ে একমত হয়েছি যে, এ সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করব। সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। সেই সঙ্গে সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। তারপরে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন হবে। যে নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে একটি নতুন পার্লামেন্ট গঠন হবে। সেই পার্লামেন্টের মাধ্যমে সকল দলের মতামতের ভিত্তিতে একটি সরকার গঠন করা হবে। এই বিষয়গুলোতে আমরা একমত হয়েছি যে আন্দোলনের ব্যাপারে, সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে যুগপৎভাবে আন্দোলন শুরু করব এবং আন্দোলনকে একটা সুনির্দিষ্ট পর্যায়ে অর্থাৎ এই সরকারকে পদত্যাগের মধ্যে দিয়ে আন্দোলনকে সফল করার জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করব।

এ সময় জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের একাংশের সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী বলেন, দেশের মানুষ আজ সুখী নয়, পেটের ক্ষুধায় মানুষ রাস্তাঘাটে হাহাকার করছে। বন্যার মধ্যেও সরকারের সাহায্য পর্যাপ্ত পরিমাণে যাচ্ছে না। তা ছাড়া দেশের প্রধান যে জিনিস গণতন্ত্রকে এই সরকার মেরে ফেলেছে। এই সরকারকে আর টিকে থাকতে দেওয়া যায় না। অনতিবিলম্বে এই সরকারকে হঠাতে হবে। সেই হঠানোর জন্য আমাদের কোরবানির প্রয়োজন আছে, আন্দোলনের প্রয়োজন আছে।  সেজন্য যা কিছু প্রয়োজন হয় তা করতে আমরা একমত হয়েছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, নির্বাহী সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহিম ইসলামাবাদী, সিনিয়র সহ-সভাপতি শায়খুল হাদীস আল্লামা শেখ মজিবুর রহমান, সহ-সভাপতি মাওলানা শহীদুল ইসলাম আনসারী, জামাল নাসের চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, মাওলানা আব্দুল হক কাওসারী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা রশিদ বীন ওয়াক্কাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী জাকির হোসাইন খান। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo