• আন্তর্জাতিক

কাশ্মির ছাড়তে চান হিন্দু পণ্ডিতরা

  • আন্তর্জাতিক
  • ০৩ জুন, ২০২২ ০০:৪৪:৩৪

ছবিঃ সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ কাশ্মিরের পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় এই উপত্যকা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন সেখানকার হিন্দু পণ্ডিতরা। নিয়মিত পণ্ডিত ও অ-কাশ্মীরিরা হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার পর এই হুমকি দিয়েছেন তারা।

গত তিনদিনের মধ্যে কাশ্মিরের কুলগামে দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এই হত্যাকাণ্ডের শিকার যারা হয়েছেন তাদের একজন নারী স্কুল শিক্ষক এবং অন্যজন ব্যাংক ম্যানেজার। শুধু এই দুটি হত্যাই নয়, কিছুদিন ধরে সেখানকার বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পণ্ডিত ও অ-কাশ্মীরিদের টার্গেট করেছে।

দেশটির দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে কাশ্মিরে অন্তত ১৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এরপর প্রায় চার হাজার পণ্ডিত হুমকি দিয়েছেন, সরকার যদি তাদের নিরাপত্তা না দিতে পারে তাহলে তারা কাশ্মির ছেড়ে চলে যাবেন।

তাদের দাবি, আপাতত নিরাপদ কোনো জায়গায় তাদের নিয়ে যাওয়া হোক। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত হলে তারা আবার কাশ্মিরে ফিরবেন। এই চার হাজার পণ্ডিতকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ প্যাকেজ অনুযায়ী চাকরি দেয়া হয়েছিল।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাশ্মিরি পণ্ডিতরা যে ট্রানজিট ক্যাম্পে থাকেন, বুধবার সেই সব শিবিরে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কাউকে সেখানে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পণ্ডিতদেরও বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। শ্রীনগরের পাশে ইন্দ্রনগরসহ অনেকগুলো শিবিরের পরিস্থিতি প্রায় একই।

সবচেয়ে বড় শিবির হল ভেসু পণ্ডিত কলোনি। সেখানে কয়েকশ পণ্ডিত বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, স্লোগান দিয়েছেন। সেখানেও শিবিরের প্রধান দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে একজন বিক্ষোভকারী বলেছেন, আমরা ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করব। তারমধ্যে সরকার কোনো পদক্ষেপ না নিলে আমরা সবাই আবার ফিরে যাব।তিনি বলেছেন, তারা ইতোমধ্যে কাশ্মিরের লেফটন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সঙ্গে দেখা করেছেন। সেখানে তাকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে তারা উপত্যকায় ফিরতে চান না। তাদের আপাতত অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হোক। পুলিশের আইজি-ও বলেছেন, কাশ্মিরকে সন্ত্রাস-মুক্ত করতে একটু সময় লাগবে।

কাশ্মিরি পণ্ডিতরাই এখন অভিযোগ করছেন, বর্তমান সরকার পণ্ডিতদের কাশ্মির-ত্যাগের দায় নিতে চায় না। তাই তাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। সেজন্য শিবিরে কাশ্মিরিরা স্লোগান দিয়েছেন, ‘প্রশাসন হায় হায়’, ‘সংখ্যালঘুদের বাঁচতে দাও’, ‘আমরা ন্যায় চাই’ ইত্যাদি।

কাশ্মিরের সাংবাদিক রউফ ফিদার মতে, ‘সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে এই প্রবণতা শুরু হয়েছে। একটা প্রচার শুরু হয়েছিল যে, কাশ্মিরে এবার অ-কাশ্মিরিদের নিয়ে গিয়ে বসানো হবে। সন্ত্রাসীরা এখন বোঝাতে চাইছে, বিষয়টি অত সহজ নয়।’

তার মতে, ‘সরকার যে দাবি করে, কাশ্মিরে সব স্বাভাবিক এই সব হত্যা, পণ্ডিতদের চলে যাওয়ার ঘোষণা তার উল্টো ছবিটাই স্পষ্ট করছে।’ ডি ডব্লিউ।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo