• প্রশাসন

বিজিবি-বিজিপি রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত

  • প্রশাসন
  • ০২ জুন, ২০২২ ০১:২৩:২৪

ছবিঃ সিএনআই

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন--২০২২ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ জুন বুধবার মিয়ানমারের মংন্ডু শহরে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের 

১নম্বর মংন্ডু কমান্ডিং অফিস"র  কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থেত উইন (Police Brigadier General Htet Lwin) এর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের বিজিপি প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। 

অপরদিকে, বিজিবি'র কক্সবাজার রিজিয়ন সদর দপ্তর"র রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিব (Najm-Us-Sakib) এর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। 

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে অন্যান্যরা হচ্ছেন বিজিবি কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোঃআজিজুর রউফ, ডিজিএফআই কক্সবাজার অফিস ডেট কমান্ডার  কর্নেল হাসনাত আহমেদ, বিজিিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মুহাম্মদ ইফতেখার,পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোঃ আরিফুর রহমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব  মোহাম্মদ রাশেদ হোসাইন চৌধুরী,  লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ মোহতাসিন বিল্লাহ (শাকিল), লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাহিদ হোসাইন,  লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারিক কবির,  লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ মেহেদী হাসান কবির,  লেফটেন্যান্ট কর্নেল শরীফ আহমেদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান খান ও   মেজর মোঃ ইসরাফিল আলম প্রমুখ। 

টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবি সংবাদ সম্মেলন কক্ষে  কক্সবাজার  রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজম-উস-সাকিব বুধবার রাতে এক প্রেস ব্রিফিং করেন।

এতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল মায়ানমারের মন্ডুতে পৌঁছালে মিয়ানমার প্রতিনিধিদল উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং বিজিবি প্রতিনিধিদলের প্রধানকে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি)  ‘গার্ড অব অনার’প্রদান করে। 

সম্মেলনে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, মিয়ানমার হতে অবৈধভাবে ইয়াবা, ক্রিস্টাল মেথ (আইস) সহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য পাচার, মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, আন্তঃ সীমান্ত অপরাধ দমন, সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতিকারীদের ক্যাম্প, আস্তানা অপসারণ, সীমান্তে ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (IED) স্থাপন, মিয়ানমারের কাঁটাতারের বেড়ায় বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন, অসতর্কতা, ভুলবশতঃ আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রবেশের পর আটককৃত বাংলাদেশী নাগরিকদের দ্রুত ফেরত প্রদানের বিষয়টি ত্বরান্বিত ও সহজীকরণ, সীমান্তের নানাবিধ সমস্যা নিরসনকল্পে উভয় দেশের বর্ডার লিঁয়াজো অফিস (বিএলও) এর কার্যক্রম পূর্ণরূপে সক্রিয়করণ, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে যৌথ সমন্বিত টহল পরিচালনা ও পিলার পরিদর্শন ইত্যাদি বিষয়ের উপর বিস্তারিত ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। 

এছাড়াও সম্মেলনে মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে স্বদেশে প্রত্যাবাসনের জন্য অপেক্ষমান বাংলাদেশী নাগরিকদের হস্তান্তর প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্নের বিষয়েও ফলপ্রসূ আলোচনা হয় এবং এ সম্মেলনের মাধ্যমে বিজিবি প্রতিনিধিদল মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে স্বদেশে প্রত্যাবাসনের জন্য অপেক্ষমান ৪ জন বাংলাদেশী নাগরিককে ফিরিয়ে আনে। এরা টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের জালিয়া পাড়ার বাসিন্দা। 

সম্মেলনে সীমান্তবর্তী জনসাধারণের নিরাপত্তা এবং সীমান্তে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে উভয় প্রতিনিধিদলের প্রধান একসাথে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সম্মেলন শেষে বুধবার  বিকেলে বিজিবি প্রতিধিদল বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। 

উল্লেখ্য সর্বশেষ সীমান্ত সম্মেলন ২০১৯ সালের ১৯ অক্টোবর  অনুষ্ঠিত হয়েছিল । 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo