যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে উত্তর কোরিয়ার পাশে চীন-রাশিয়া

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ ফের নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থেকে রক্ষা পেল উত্তর কোরিয়া। এমন দুঃসময়ে দেশটির পাশে দাঁড়িয়েছে মিত্র দেশ চীন ও রাশিয়া। নিষিদ্ধ আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ বন্ধ চেয়ে উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধজ্ঞা দাবি করে মার্কিন সরকার। জাতিসংঘে উত্থাপিত এই দাবির বিপক্ষে ভোট দেয় মিত্র দুই দেশ। ফলে ফের মার্কিন নিষেধজ্ঞা থেকে পেল দেশটি।

রয়টার্স বলছে, ২০০৬ সাল থেকে পিয়ংইয়ংয়ের ওপর চাপ শুরু হয়। সাম্প্রতিক সময়ে নিষিদ্ধ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ শুরু করে উত্তর কোরিয়া। এর জেরে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব আনা হয়। এদিন প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ প্রকাশ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে। চীন ও রাশিয়া বাদে পরিষদের বাকি ১৩ সদস্য রাষ্ট্র ওয়াশিংটনের উত্থাপিত খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। উত্তর কোরিয়ার দুই মিত্র দেশের ভেটোতে প্রস্তাবটি খারিজ হয়ে যায়।

এ খসড়ায় উত্তর কোরিয়ায় তেল ও তামাক রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করা হয়। এতে হ্যাকিং গোষ্ঠী ল্যাজারাসকে কালো তালিকাভুক্ত করার কথাও বলা হয়েছিল। এই গোষ্ঠীটি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্ত বলে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ।

প্রস্তাব খারিজ হওয়া নিয়ে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড দিনটিকে ‘হতাশাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপে উত্তর কোরিয়া আরো সাহসী হয়ে উঠবে। ওয়াশিংটনের মূল্যায়ন অনুযায়ী চলতি বছর উত্তর কোরিয়া ছয়টি আইসিবিএম উৎক্ষেপণ করেছে। একটি পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে’।

পরিষদে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নিবেনজিয়া বলেন, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ পুরোপুরি ‘অচল অবস্থা’ তৈরি করবে।

চীনের রাষ্ট্রদূত ঝং চান বলেন, উত্তর কোরিয়া বিরুদ্ধে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোনো লাভ হবে না। আরো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সংঘাতের সম্ভাবনা বাড়বে।      

গত ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিরাপত্তা পরিষদ উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচীর তহবিল বন্ধে স্থির ও সর্বসম্মতভাবে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে গেছে। পরিষদ সর্বশেষ ২০১৭ সালে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করেছিল। তারপর থেকে মানবিক বিবেচনায় দেশটির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য চাপ দিচ্ছিল চীন ও রাশিয়া।