• সমগ্র বাংলা

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি জমিপুনরুদ্ধারে

  • সমগ্র বাংলা
  • ১৯ মে, ২০২২ ১৯:১০:১৩

ছবিঃ সিএনআই

নজরুল ইসলাম রাজু, রংপুর ব্যুরো: ওয়াকফে মোহাম্মাদী ওয়াকফ এস্টেটের মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার বেহাত হয়ে যাওয়া জমি পুনরুদ্ধারসহ প্রস্তাবিত নতুন কমিটির অনুমোদনে প্রধানমন্ত্রীসহ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে দিনাজপুর জেলা আহলে হাদিস জামে মসজিদের সাধারণ মুসল্লি ও প্রস্তাবিত কমিটি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাবের হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানান প্রস্তাবিত কমিটির সভপতি রাশেদ পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাশেদ পারভেজ বলেন,ওয়াকফে মোহাম্মাদী ওয়াকফ এস্টেটের ওয়াকফ করা জেলা আহলে হাদিস জামে মসজিদ, মাদ্রসা ও এতিমখানার ২৬ শতক জমির মধ্যে ১৬ দশমিক ৭২ শতাংশ জমির উপর মামলা চলমান রয়েছে।

অদৃশ্য শক্তির ক্ষমতাবলে এবং দূর্নীতিবাজ, অর্থলোভী, ধূর্ত ও এস্টেট পরিচালনায় মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির প্রত্যক্ষ মদদে সেখানকার ওয়াহেদুজ্জামান  বুলবুল ও তাঁর লোকজন মসজিদের জায়গায় অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থি’তিতে ধর্মীয় এ উপাসনালয়ের সম্পত্তি পুনরুদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারসহ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আশু হস্তক্ষেপ জরুরি।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় আহলে হাদিস অনুসারী মৌলভী হাজী জমির উদ্দীনসহ আরো দশজন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার  উদ্দেশ্যে ১৯৫৪ সালে কবালা দলিল মূলে ক্রয় করেন। যা চার বছর পর দিনাজপুর জেলা আহলে হাদিস মসজিদ,দারুল হাদিস মাদ্রাসা ও একটি কুতুবখানা লাইব্রেরী, কোরআন ও হাদিসের সঠিক জ্ঞান প্রচার এবং প্রসারের উন্নতিকল্পে বৃহৎ স্বার্থে ওই জমির মালিকগন ওয়াকফে মোহাম্মাদী ওয়াকফ এস্টেটকে ওয়াক্ফ সম্পত্তি হিসাবে রেজিস্ট্রি করে দেন।

লিখিত বক্তব্যে প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি আরও বলেন, ওয়াকফ দলিলের শর্তানুসারে এবং জমি দাতাগণের ই”ছানুসারে ওই সম্পত্তির পূর্বদিকে প্রায় ১০ শতকের উপর দিনাজপুর কেন্দ্রীয় আহলে হাদিস জামে মসজিদ, রহমানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার স্থাপনা গেড় তোলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসন অনুমোদিত মতোয়াল্লী নিয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হয়ে আসছে।ওই জমির অবশিষ্ট ১৬ দশমিক ৭২ শতাংশ অংশে আধাপাকা কিছু দোকান ঘর ভাড়া দেওয়া হয় এবং আদায়কৃত ভাড়ার অর্থে ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের দানের অর্থকড়িতে স্থাপিত প্রতিষ্ঠান সমূহের ব্যয়ভার নির্বাহ করা হতো।

সময়ের পরিক্রমায় কিছু মতোয়াল্লীর অবহেলা, অনভিজ্ঞতা ও একটি কুচক্রী মহল ওয়াকফ করা এই সম্পত্তি নিজেদের দাবি করে দখলে নিতে শুরু করেন।সবশেষ পর পর দুই মেয়াদে লুৎফুল কবির বকুল (সভাপতি) ও আফতাব উদ্দীন (সাধারন সম্পাদক) কমিটি এস্টেট পরিচালনায় অনুমোদিত হলে সম্পত্তি বেহাতের ষোলকলা পূর্ণ হয়।বর্তমানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ শেষে মার্কেট চালু করার পর ওয়াহেদুজ্জামান বুলবুলের লোকজনদের সাথে নিয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকসহ অন্যরা রামসাগরে আনন্দ উল্লাসের মাধ্যমে পিকনিকের আয়োজন করেন।

গত ২৫ মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজরে পর মসজিদের মুসল্লীরা এ ধরণের অনৈতিক আয়োজনের প্রতিবাদ করায় তারা সন্ত্রাসী দিয়ে সাধারণ মুসল্লীদের উপর হামলা করেন। পরবর্তীতে তারাই আবার সাধারণ মুসল্লীদের ১৮-২০ জনের নামে মিথ্যা এজাহার দায়ের করেন।

বর্তমানে ধর্মপ্রাণ সাধারণ মুসল্লীসহ স্থানীয়রা ধর্মীয় এই প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি উদ্ধারসহ মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির অপসারণ দাবি করায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে ভয়ভীতি সৃষ্টি এবং অর্থ ও অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে সাধারণ মুসল্লিদেরকে মামলা-হামলা ও পুলিশি হয়রানিসহ নানাবিধভাবে হেনা করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ওয়াকফে মোহাম্মাদী ওয়াকফ এস্টেট এর দিনাজপুর জেলা আহলে হাদীস জামে মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রস্তাবিত কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি নাসের চৌধুরী, সহসভাপতি আতাউল্লাহ কচি, সজিবুর রহমান জীবন, কুতুব উদ্দীন, সহ সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী, মিজানুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ শাহ জালাল, সহ কোষাধ্যক্ষ মজিবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক তাজ আলী প্রমুখ।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে মসজিদ কমিটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আফতাব উদ্দীনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo