• আন্তর্জাতিক

‘মাঙ্কিপক্স’ নিয়ে এবার যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপে সতর্কতা

  • আন্তর্জাতিক
  • ১৯ মে, ২০২২ ১৪:০৬:১৭

ছবিঃ সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে অতি সংক্রামক ‘মাঙ্কিপক্স’। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই নতুন করে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ১৯৭০ সালে প্রথম গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে প্রথম এই সংক্রামক ভাইরাসের খোঁজ মেলে।

সম্প্রতি ইংল্যান্ডের এক বাসিন্দা এই বিরল ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারিভাবে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য দপ্তর এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (১৯ মে) পর্তুগাল জানিয়েছে, দেশটিতে পাঁচজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া স্পেনে ২৩ জনের দেহে এই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্য জানিয়েছে, তাদের এক বাসিন্দা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই ব্যক্তি সম্প্রতি কানাডা সফর শেষে দেশে ফেরেন।

যুক্তরাজ্য চলতি মাসের প্রথমেই তাদের দেশে প্রথম কেস শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে। ওই ব্যক্তি সম্প্রতি নাইজেরিয়া গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই তিনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

নাক, মুখ, চোখের পাশাপাশি আক্রান্তের পোশাক থেকেও সংক্রমিত হতে পারে এই ভাইরাস। এই ভাইরাসটি খুবই সংক্রামক বলে সতর্ক করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি এক বিশেষ ধরনের বসন্ত। জলবসন্ত বা গুটিবসন্তের প্রতিকার থাকলেও এই ভাইরাস এতই বিরল যে, এখনো পর্যন্ত এর নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসাপদ্ধতি জানতে পারেননি চিকিৎসকরা।

মূলত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার কিছু দেশে এই ভাইরাসের খোঁজ মেলে। তবে নাম ‘মাঙ্কিপক্স’ হলেও একাধিক বন্যপ্রাণির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। এই ভাইরাস সবচেয়ে বেশি ছড়ায় ইঁদুরের মাধ্যমে।

এই ভাইরাসের উপসর্গ

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তদের শরীরে প্রাথমিক উপসর্গের মধ্যে জ্বর, মাথাব্যথা, পিঠ ও গায়ে ব্যথার মতো লক্ষণ থাকে। এ থেকে হতে পারে কাঁপুনি ও ক্লান্তি।

এর পাশাপাশি দেহের বিভিন্ন লসিকা গ্রন্থি ফুলে ওঠে। সঙ্গে ছোট ছোট ক্ষতচিহ্ন দেখা দিতে থাকে মুখে। ধীরে ধীরে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে ক্ষত। বিশেষজ্ঞদের দাবি, আক্রান্ত ব্যক্তির আশেপাশে থাকা ব্যক্তির মধ্যে সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভাইরাস।

শ্বাসনালি, ক্ষতস্থান, নাক, মুখ কিংবা চোখের মাধ্যমে এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে সুস্থ ব্যক্তির দেহে। এমনকি আক্রান্তের ব্যবহার করা পোশাক থেকেও ছড়ায় সংক্রমণ।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo