• অপরাধ ও দুর্নীতি

যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে নির্যাতন, স্বামী গ্রেফতার

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ১৫ মে, ২০২২ ১৯:০২:১৩

ছবিঃ সিএনআই

উবায়দুল্লাহ রুমি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ): ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে শিউলি আক্তার (১৯) নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী রাজন মিয়া ওরফে রফিকুল ইসলাম (২১) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে নির্যাতিতা গৃহবধূ শিউলি আক্তার বাদী হয়ে রোববার ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা দায়েন করেন।

মামলার এজহার ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের চরশিহারি গ্রামের রিকশা চালক সাইদুল ইসলামের মেয়ে শিউলি আক্তারের সাথে
২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিয়ে হয় নেত্রকোনা সদর উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের ঝগড়াকান্দা গ্রামের মৃত লাল চান মিয়ার ছেলে রাজমিস্ত্রি শ্রমিক রাজন মিয়া
ওরফে রফিকুল ইসলামের। বিয়ের সময় ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়া হলেও গত রমজানের পূর্ব থেকে আবারও যৌতুক চেয়ে শিউলির উপর শুরু হয় নির্যাতন। তারপর শিউলির বাবা তার মেয়ের সংসার সুখী রাখতে একটি মোবাইল কিনে দেন।

তারপরও ২০হাজার টাকা, খাট, শো-কেস, আলনা, বাসন ও যৌতুক হিসেবে চাইলে দিতে অস্বীকার করে শিউলি। সে কারণে শুরু হয় তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন।
গত ১৩ মে শুক্রবার শিউলির স্বামী রাজন ও শ্বাশুড়ি জরিনা খাতুন, জাল রুমা আক্তার মিলে মারধর করে। এসময় শিউলির হাত-পা বেঁধে মারধর শেষে শরীরে মরিচের গুঁড়া ডলে দেয়া হয়। এরপর শনিবার রাতে শিউলিকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার চরশিহারি গ্রামে তার বাবার বাড়ির সামনে ফেলে রেখে পালানোর চেষ্টা করে স্বামী রাজন। এঘটনা দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ স্বামী রাজনকে থানায় নিয়ে আসে।

ভুক্তভোগী শিউলি আক্তার বলেন, আমাকে মেরে হাত-পা বেঁধে রাখা হয়। আমি পানি চাইলে মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে পানি দেয়া হয়। তৃষ্ণার্ত অবস্থায় আমাকে জোর করে সে পানি খাওয়ানো হয় পরে যন্ত্রনায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় হামাগুড়ি দিয়ে বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ি। পানি থেকে উঠতে চাইলে আমার স্বামী
আমাকে মারধর করে ও জাল রুমা আক্তার ভিডিও ধারণ করে। আমি আমার স্বামী রাজনসহ যারা নির্যাতন করেছে তাদের ফাঁসি চাই।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, নির্যাতনের বিষয়টি অবগত হওয়ার পর ভুক্তভোগীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পরে ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হয়। এ ছাড়া অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo