• সমগ্র বাংলা

পদ্মাপাড়ের ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে দিয়াড় উপজেলা গঠনের দাবি

  • সমগ্র বাংলা
  • ১৩ মে, ২০২২ ১৬:৪৪:৩৩

ছবিঃ সিএনআই

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ভারত থেকে বয়ে আসা পদ্মা নদীর দুই পাড়ে গড়ে উঠেছে সীমান্তবর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার দিয়াড় অঞ্চল। সদর উপজেলার পদ্মাপাড়ে গড়ে উঠা ৭টি ইউনিয়নকে নিয়ে "দিয়াড় উপজেলা" গঠনের দাবিতে দিয়াড় উপজেলা পরিষদ বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ মে) সকালে সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে দিয়াড় উপজেলা পরিষদ বাস্তবায়ন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. আবদুস সালামকে আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আলহাজ্ব রফিকুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট দিয়াড় উপজেলা পরিষদ বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়াও কমিটিতে উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছে ১০ জন। 

এর আগে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. আবদুস সালাম বলেন, সর্বনাশা পদ্মা নদীর সাথে দিয়াড় অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা মিশে আছে। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এই অঞ্চলের মানুষরা অনেক অবহেলিত। দিয়াড়ে কোন কলকারখানা, কুটির শিল্পসহ বড় কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। তাই এই অঞ্চলের ৭টি ইউনিয়নকে নিয়ে দিয়াড় উপজেলা গঠন করা হলে সকল শ্রেণীপেশার মানুষের উপকার হবে। এটি আমাদের দাবি নয়, অধিকার। 

জেলা পরিষদের প্রশাসক আশরাফুল হক, দিয়াড় অঞ্চলের সাত ইউনিয়নের সকল শ্রেণীপেশার মানুষকে আজকে একত্রিত করতে পেরে ভালো লাগছে। অবহেলিত জনপদে আমরা দিয়াড় উপজেলা পরিষদ গঠন করেই ছাড়ব, ইনশাআল্লাহ। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নজরুল ইসলাম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহর ও রাজশাহীতে গেলে অনেকেই আমাদেরকে দিয়াড়্যা বলে উপহাস করে। কিন্তু আমরা এটা নিয়ে অহংকার করতে চাই। এই অহংকারকে বাস্তবায়ন করতেই প্রশাসনিক অঞ্চল গড়ে তুলতে চাই। আামাদের প্রাণের দাবির দিয়াড় উপজেলা কোন জায়গায় হবে, সেটি মুখ্য বিষয় নয়। দিয়াড় উপজেলা গঠন করতে হবে, এটাই মুখ্য বিষয়। উদ্যোগ নেয়া বেশিরভাগ মানুষই দিয়াড়ে জন্মগ্রহণ করলেও তারা সকলেই জেলা শহর ও রাজশাহীতে থাকে। অথচ নাড়ির টানে তারা আজকে ছুটে এসেছে। নিঃস্বার্থভাবে তারা এই দাবির সাথে সহমত প্রকাশ করেছেন। 

সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোখলেসুর রহমান বলেন, দিয়াড় উপজেলা গঠনের দাবিতে দলমত ভুলে আজকে সবাই এক কাতারে এসেছে। এটি অনেক আগেই বাস্তবায়ন হওয়ার কথা ছিল। সদর উপজেলায় ৩ লাখ ৭৩ হাজার ভোট। ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে বিশাল জনগোষ্ঠীকে সেবা দিতে গিয়ে বঞ্চিত হয় দিয়াড় অঞ্চলের মানুষ। দিয়াড়ের ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে অনেক আগেই উপজেলা গঠন করার কথা ছিল। যা বিভিন্ন সময়ে আমরা সরকারের নজরে এনেছি। আমাদের এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

উপজেলা পরিষদ বাস্তবায়ন কমিটি গঠনের আগে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. আবদুস সালাম। জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও আ.লীগ নেতা আলহাজ্ব রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন, দেবিনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, নারায়নপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন, চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহীদ রানা টিপু, শাহজাহানপুর ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা খাইরুল ইসলাম, সুন্দরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ বাবু, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান তোতা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আফসার আলী বিশ্বাস,সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য কাজলেমা,

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সদস্য সচিব বরজাহান আলী, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আসাফুদ্দৌলা,

জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আকম সায়েদুল আলম বিশ্বাস পলাশ। এছাড়া সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, দিয়াড় অঞ্চলের বিভিন্ন ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ, আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার জনসাধারণ। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo