ছবিঃ সিএনআই
মোঃ রাশেদ খান মেনন, টাঙ্গাইলঃ পুলিশের চাকরি পেতে মামা-খালুর জোর ও টাকা লাগে! এমন ধারণাকে ভুল প্রমান করে ১২০ টাকার বিনিময়ে পুলিশের চাকরি পেলেন ১০০জন। ফলাফলের চুড়ান্ত কপি হাতে পেলেও নিজের চোখকেও যেন বিশ্বাস করতে পারছেনা পুলিশের চাকরির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীরা। আর চাকরি পাওয়ায় খুশি তাদের পরিবার পরিজনদের মাঝে। পুলিশের চাকরিতে ঘুষ লাগেনা জানিয়ে সকলকে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।
পায়ে ছেড়া জুতা, পরনে মলিন পোশাক পড়া যুবক রায়হান কবির। ১২০টাকা দিয়ে অনলাইনে মাধ্যমে ফরম পূরণ করে চাকরির আশায় দাড়িয়েছিলেন টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনস্ মাঠে। ফলাফলে নির্বাচিত হওয়ার খবর শুনে, সে যেন নিজের কানকেই যেন বিশ্বাস করতে পারছেনা।
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার হাবলা উত্তরপাড়া গ্রামের কৃষক সুজন খানের ছেলে তিনি। ছোট বেলা থেকে পুলিশের চাকরির প্রতি লোভ থাকলেও ঘুষ ছাড়া এতো সহজেই চাকরি পাবে কখনো তা ভাবেনি।
শুধু রায়হান নয়, একই অবস্থায় নাগরপুরের আরিফ হোসেনের। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হয়েও ১২০টাকার বিনিময়ে পুলিশের চাকরি পেয়ে খুশির কান্না যেন থামছেইনা। তাইতো দেশের জন্য কাজ করতে চায় এ যুবক।
ঘুষ ছাড়া চাকরি হওয়ার খুশিতে আত্মহারা সদ্য যোগ্য প্রার্থীরা। এযুগে ঘুষ ছাড়া চাকরি হয় নিজ সন্তানের না হলে বিশ্বাস হতোনা, ঐসকল প্রার্থীর অভিবাবকদের।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার ও নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, এ নিয়োগে যোগ্য ও মেধাবী ব্যক্তিকেই মূল্যায়ন করা হয়েছে। এখন আর পুলিশের চাকরিতে ঘুষ লাগে না।
চলতি বছর টাঙ্গাইল জেলায় ৮৭ জন পুরুষ ও ১৩ জন নারীকে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আগামী মঙ্গলবার তাদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল টেস্ট করিয়ে ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে চুড়ান্ত মেডিকেল টেস্ট করিয়ে ট্রেইনিংয়ের জন্য পাঠানো হবে।
জব ডেস্কঃ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স লিমিটেডে ‘সিনি...
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে দ...
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ গাজার দক্ষিণাঞ্চলের শহর রাফায় হাম...
নিউজ ডেস্কঃ তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে...
মন্তব্য ( ১)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
করোনার কারনে আমারা পুলিশে এপ্পালাই করতে পারি নাই। এখন বয়স শেষ হওয়ার কারনে করতে পারছি না পুলিশ প্রধানের কাছে আকুল আবেদন। আমাদের এর একটি ব্যবস্থা করা হোক