• অপরাধ ও দুর্নীতি

বগুড়ায় মাছ ব্যবসায়ীর নিহতের ঘটনায় ৪টি বাড়িতে আগুন

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ০৫ মার্চ, ২০২২ ২০:২৯:১৩

ছবিঃ সিএনআই

সঞ্জু রায়, বগুড়াঃ বগুড়ার কাহালুতে ছুরিকাঘাতে মাছ ব্যবসায়ী নিহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলার জয়তুন গ্রামে শনিবার সকালে ৪টি বসতবাড়িতে আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় আগুন নেভাতে গেলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির পথ রোধ করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে।

জানা যায়, গত ২মার্চ সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে জয়তুন গ্রামের মৃত মঈন উদ্দিনের ছেলে মাছ ব্যবসায়ী মো. সেকেন্দার আলী (৫৮) কে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ৯টার দিকে মারা যান ছুরিকাঘাতের শিকার সেকেন্দার আলী। এদিকে সেকেন্দারের মৃত্যুতে বিক্ষুব্ধরা সংঘবদ্ধভাবে অভিযুক্ত হিসেবে জয়তুন গ্রামের রাকিব, মোস্তফা আলী, জিহাদ ও নজরুল ইসলামের বাড়িতে আগুন দেয়। আগুনে নজরুলের দোকানঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কাহালু ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রুবেল রানা। এদিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা শুনে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজিত গ্রামবাসী গাড়ির ওপর হামলা করতে উদ্যত হয়। পরে পরিস্থিতি বিবেচনায় গাড়ি পিছিয়ে নেয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পরে কাহালু থানা পুলিশের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ আমবার হোসেন জানান, একই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে শত্রুতার জেরে ২ মার্চ সেকেন্দার আলীকে এলোপাথারি ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে অবস্থা খারাপ হলে ঢাকায় নিয়ে যায় সেকেন্দারের পরিবার। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ৯টার দিকে মারা যান তিনি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের স্বজনেরা উত্তেজিত হয়ে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের দল আগুন নেভাতে গেলে বাধার সম্মুখীন হয়।

পরে পুলিশের উপস্থিতিতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।
এ প্রসঙ্গে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আলী হায়দার চৌধুরী জানান, পুলিশি হস্তক্ষেপে জয়তুন গ্রামের সার্বিক পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়াও ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে উক্ত অপরাধের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন কাহালুর এই ঘটনায় তারা শুরু থেকে মাঠে ছিলেন এবং এখনো সার্বিক পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি সাধারণ মানুষকে আর আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানান। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo