• শিক্ষা

বশেফমুবিপ্রবিতে নানা আয়োজনে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন 

  • শিক্ষা
  • ২৭ নভেম্বর, ২০২১ ১৬:৪৫:৪০

ছবিঃ সিএনআই

জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের মেলান্দহে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। শনিবার (২৭ নভেম্বর) বশেফমুবিপ্রবি ক্যাম্পসে বর্ণাঢ্য আয়োজনে "বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা হয়। সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা ও বশেফমুবিপ্রবি পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানোর মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য, মেলান্দহ মাদারগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজম এবং বশেফমুবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দীন আহমেদ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,বশেফমুবিপ্রবি ট্রেজারার মোহাম্মদ আবদুল মাননান, রেজিস্ট্রার খন্দকার হামিদুর রহমান,জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক, ফারুক চৌধুরী আহমেদ,মেলান্দহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, সাধারণ সম্পাদক জিন্নাহ,মেলান্দহ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান, মেলান্দহ পৌরসভার মেয়র শফিক জাহেদী রবিন প্রমূখ।

এরপর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়, শোভাযাত্রাটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জামালপুর- দেওয়ানগঞ্জ লিংক রোড প্রদক্ষিণ করে ফের প্রশাসনিক ভবনের গিয়ে শেষ হয়।

আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ চৌধুরী বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালটি অভিভাবক শূন্য, থেকেও কেউ নেই। ভিসি ও রেজিস্ট্রার ঢাকায় থাকেন। তাদের ঢাকার অফিস এ বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্তান্তর করার জন্য বলছি। শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের প্রায় সময় নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আজম বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকায় যেসব অফিসে কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে। সেই অফিস গুলো জানুয়ারির মধ্যেই এ বিশ্ববিদ্যালয় স্থানান্তর করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা জমি দান করেছেন তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের  অনুষ্ঠানে তাদেরকে দাওয়াত দিবেন। 

সভাপতিত্বে বক্তব্যে উপাচার্য সৈয়দ সামসুদ্দীন আহমেদ বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয় যাতে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরনের অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে পারে। সেজন্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এখান থেকেই সৃষ্টি হবে অনেক স্বনামধন্য গবেষক, বিজ্ঞান, শিক্ষাবিদ ও মনীষার । শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ধর্ম- বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবার গুনগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করছে। এ এক্ষেত্রে আমি সবার সহযোগিতা কামনা করি।

এদিকে দিবসটি উদযাপনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আলপনায় সেজেছে বশেফমুবিপ্রবি চত্বর। অনুষ্ঠানমালার শেষটায় ছিলো মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা । অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক ড. এএইচএম মাহবুবুর রহমান।

 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo