কক্সবাজার প্রতিনিধি : দেশীয় অস্ত্রসহ ৬ জন ডাকাত আটক করেছে ১৪ এপিবিএন সদস্যরা। ১৯ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোররাত পৌনে তিনটার দিকে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৫ এর এ-ব্লকের জি/৪ সাব ব্লকের চানমিয়া মাঠের পূর্ব পাশে সিরাজুল ইসলামের চা-পানের দোকানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
জানা যায়, মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাত পৌনে তিনটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় উখিয়ার ৫ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-ব্লকের জি/৪ সাব ব্লকের চানমিয়া মাঠের পূর্ব পাশে সিরাজুল ইসলামের চা-পানের দোকানে অস্ত্রসজ্জিত ২৫/৩০ জন লোকজন ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে সমবেত হয়েছে। তৎক্ষনাৎ ইরানী পাহাড় পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ক্যাম্প কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার
পিযুষ চন্দ্র দাস এর নের্তৃত্বে অপারেশন অফিসার, পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সাজ্জাদ হোসেন এবং সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে। ঘটনাস্থলে পৌছামাত্র আসামিরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়িয়ে পালানোর চেষ্টা কালে ছয়জনকে দেশীয় অস্ত্র সহ হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
এরা হলো ক্যাম্প- ১৭, ব্লক- বি, সাব ব্লক- এইচ/১০২ এর আবুল হাসিমের ছেলে মো. জাবের (২৪), ক্যাম্প- ৫, ব্লক- সি, সাব ব্লক- ইই/৫ এর মৃত আবুল বশর প্রকাশ বাশারের শফিকুল ইসলাম (৩২), ক্যাম্প- ৫, ব্লক-বি, সাব ব্লক- জি/৫৭ এর নূর হোসেনের ছেলে সৈয়দ মোহাম্মদ(৫২), ক্যাম্প-৫, ব্লক- ডি, সাব ব্লক- ইই/৪ এর নূর আলমের ছেলে মো. জমির (২৭), ক্যাম্প- ১/ডব্লিউ, ব্লক- সি/১২এর মৃত আব্দুর শুকুরের ছেলে মৌলভী হামিদ হোসেন (৪১) ও ক্যাম্প- ৭, ব্লক- এফ/১০এর মৃত নজির আহম্মদের ছেলে মো. হোসেন প্রকাশ ইদ্রিস (৪৩)। এ সময় ধৃতদের হেফাজত হতে ১ টি রামদা, ১ টি কিরিচ, ১ টি বক্রাকৃতি ধামা, ২ টি লম্বাকৃতি ধামা, ১ টি নান চাকু ও ১ টি রড জব্দ করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সহযোগী ও পলাতক পাঁচ জনের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে। এরা হলো ক্যাম্প - ১৭, ব্লক- এ, সাব ব্লক- এইচ/ ৯২এর লাল মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান প্রকাশ হাবিরুন (৪০), ক্যাম্প - ৮/ডব্লিউ, ব্লক- সি, সাব ব্লক- আই/১৭এর মৃত মকবুল আহম্মদের ছেলে আব্দুল হাই (৪০), ক্যাম্প - ১৭, ব্লক- এ, সাব ব্লক- এইচ-/৯২ এর সৈয়দ আলমের ছেলে ইলিয়াস(৩২), ক্যাম্প -৫, ব্লক- ইই/৫ এর মৃত আবুল বশরের ছেলে মৌলভী অলি @ আকিজ প্রকাশ সহিদুল ইসলাম (৪২) ও ক্যাম্প - ৫ ব্লক- জি/৪ এর নূর আহম্মদের ছেলে মুফতি জিয়া রহমান (৩০)।
কক্সবাজার ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক এসপি মো নাইমুল হক জানান, " আসামিগণ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য এবং তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তা ছাড়া তারা ঘটনাস্হলে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে সমবেত হয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করতেছিল মর্মে জানায়।" তিনি এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান।
মন্তব্য ( ০)