নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরের বাবনাপাড়া (ব্যাপারী পাড়া) পূর্ব-দক্ষিণাংশ এলাকা তুলনামূলক নিচু এলাকা হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই পুরো এলাকা জুড়ে ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দেয় এবং এক বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে যাতায়াত করতে হয়। এছাড়াও বন্যার পানি সামান্য বৃদ্ধি পেলেই নিকটবর্তী খালের পানি অপরিকল্পিত ভাবে নির্মিত খালের পাড় সংলগ্ন কালভার্ট দিয়ে এলাকায় প্রবেশ করে এলাকার হাজারো বাসিন্দাকে পানিবন্দি করে ফেলে। অন্তত ৬ মাস জলাবদ্ধতায় নাজেহাল অবস্থায় বসবাস করা জনসাধারণ বলছে, দুখু ব্যাপারীর বাড়ি থেকে খাল পর্যন্ত প্রায় ৯০০ ফুট সড়ক ব্যাপক নিচু ও খানাখন্দে ভরা। এদিকে সড়কের উন্নয়ন না করে খালের পাড়ে কালভার্ট নির্মাণ করার কারণে আরো সহজে পানি ঢুকে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ। নাগরপুর উপজেলা প্রশাসনিক এলাকার নিকটবর্তী এলাকা হওয়া স্বত্বেও বিগত ১০ বছরে এখানে মাটি ফেলে এলাকা উঁচু করা কিংবা উঁচু করে সড়ক নির্মাণ করা, এমন বিন্দুমাত্র কোনো উন্নয়ন হয়নি। ফলে স্কুলগামী শিক্ষার্থী সহ এই এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারী হাজারো জনসাধারণ লাগামহীন ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
সরেজমিনে, গিয়ে দেখা যায় কাঠ গাছে ঘেরা সড়ক দিয়ে ব্যাপারী পাড়া এলাকায় প্রবেশ করতে হয়। পায়ে হেটে ব্যাতিত জরুরী প্রয়োজনে যানবাহন নিয়ে এই এলাকায় যাতায়াত অসম্ভব। পুরো এলাকা জলাবদ্ধতায় ঢেকে আছে এবং খানাখন্দ কাদাযুক্ত পুরো সড়ক নোয়াই নদীর খালের পাড় দিয়ে উপজেলা টেরিটরিতে মিশে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা ভুক্তভোগী এলাকাবাসী বলেন, এই এলাকায় প্রায় ৫০ পরিবার ব্যাপক দুর্ভোগে দিন পার করছে। এলাকায় পানি ঢুকলে বের হওয়ার কোনো জায়গা নেই। খালের পাড়ে একটি বাধ প্রয়োজন এবং এই সড়ক উঁচু করা ব্যাপক জরুরী। জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগের বিষয়ে স্থানীয় দুখু ব্যাপারী জানায়, খালের পাড়ে কালভার্ট দেওয়ায় পানি সহজে এলাকায় ঢুকে পড়ে এবং পানি বের হওয়ার জায়গা না থাকায় দীর্ঘদিন পানি আটকে থাকে বিধায় ব্যাপক দুর্ভোগে থাকতে হয় আমাদের।
এই সড়কে প্রতিদিন যাতায়াতকারী মোঃ ইব্রাহিম মিয়া বলেন, এই এলাকায় আজ পর্যন্ত কেউ উন্নয়ন করে নাই। এলাকায় সড়ক নাই। প্রায় ৬ মাস জলাবদ্ধতায় কষ্টে থাকতে হয় আমাদের। আমরা বার বার লিখিত অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। দীর্ঘ এক দশকে সংশ্লিষ্ট এলাকার কোনো উন্নয়ন না হওয়া প্রসঙ্গে নাগরপুর সদর ২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য (মেম্বার) মোঃ রহম আলী বলেন, আমি ১০ বছরেও ব্যাপারী পাড়া এই সড়কের কোনো উন্নয়ন করতে পারি নাই। অনেক ভাবে বরাদ্দ এসেছে কিন্তু এলাকায় গাড়ি চলাচলের অবস্থা না থাকায় কিছুই করা যাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি এলাকায় গাড়ি চলাচলের নতুন সড়ক বের করার।
নাগরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম কামরুজ্জামান মণি জানায়, আমরা অবগত আছি ব্যাপারী পাড়ার উক্ত এলাকার দুর্ভোগ সম্পর্কে। কালভার্ট এর জন্য এলাকার কোনো অসুবিধা হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে এবং এলাকার উন্নয়নে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য ( ০)