• জাতীয়

নিরাপদ-পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার : খাদ্যমন্ত্রী

  • জাতীয়
  • ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:২২:৩৩

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা বর্তমান সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তথ্য ভবন অডিটোরিয়ামে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘জাতিসংঘ ফুড সিস্টেম সামিট-২০২১’-এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী এক দশকে বাংলাদেশের খাদ্য পরিকল্পনাকে বিবেচনায় নিয়ে ন্যাশনাল পাথওয়ে ডকুমেন্ট (পথ নির্দেশিকা) তৈরি করা হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়ার চালিকাশক্তি হবে এই পাথওয়ে ডকুমেন্ট।’

খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে ফুড সিস্টেম ট্রান্সফরমেশনের বিভিন্ন স্তরকে নির্ধারণ করার জন্য রোমভিত্তিক সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ফুড সিস্টেম সামিট আহ্বান করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। ফুড সিস্টেম সামিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের পাথওয়ে ডকুমেন্ট উপস্থাপন করবেন।

দেশে অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা সর্বজনস্বীকৃত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘জনগণকে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যগ্রহণ সম্পর্কেও সচেতন করতে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। একই সঙ্গে জনগণের কাছে পাথওয়ে ডকুমেন্ট সম্পর্কে সঠিক বার্তা পৌঁছাতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যদি মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে না পারি তাহলে লক্ষ্য অর্জনে পিছিয়ে থাকবো। টেকসই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীরা অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারেন।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর একটা সময় মানুষকে এক বেলা ভাত খেয়ে জীবন নির্বাহ করতে হয়েছে। সেই বাংলাদেশের মানুষ এখন না খেয়ে থাকে না। খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে আমাদের সবদিকেই উন্নতি হয়েছে। এবার আমাদের পুষ্টি নিরাপত্তার দিকে নজর দিতে হবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন বলেন, ‘খাদ্য পাওয়ার অধিকার নাগরিকের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার। রাষ্ট্র প্রয়োজন মাফিক নাগরিকের খাদ্য নিশ্চিত করবে। ফুড সাপ্লাই চেইন ঠিক রেখে তাদের জন্য পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দেওয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং।’

খাদ্যসচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন ও গেইনের কান্ট্রি ডিরেক্টর রুদাবা খন্দকার বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের (এফপিএমইউ) মহাপরিচালক মো. শহীদুজ্জামান ফারুকী।

ন্যাশনাল পাথওয়ে ডকুমেন্টের পাঁচটি উদ্দেশ্য সম্পর্কে কর্মশালায় বিস্তারিত আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo