• সমগ্র বাংলা
  • লিড নিউজ

ঈশ্বরগঞ্জের হারুয়া-খালবলা রাস্তায় ধস, যোগাযোগ বন্ধের আশঙ্কা

  • সমগ্র বাংলা
  • লিড নিউজ
  • ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৫:০৮:২২

ছবিঃ সিএনআই

ঈশ্বরগঞ্জ  প্রতিনিধিঃ উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য পাকা রাস্তার পাশের জলাশয়কে অধিক গভীর করে মাটি উত্তোলন করায় কয়েক মাস আগে রাস্তার পাশে দুটি গর্ত তৈরি হয়। পরে ব্যস্ততম সড়কে যান চলাচল ও বৃষ্টিপাতের ফলে এ গর্ত বিরাট আকার ধারণ করে। আর গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে গর্তের মাটি সরে গিয়ে পাকা রাস্তাটি ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধের আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। এ চিত্র ময়মনসিংহের ঈশ^রগঞ্জ উপজেলার হারুয়া-খালবলা সড়কের ।

সরেজমিন জানা যায়, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের মাইজবাগ ইউনিয়নের হারুয়া বাসস্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে আরেকটি রাস্তা চলে গেছে খালবলা বাজার পর্যন্ত। দুই পাকা সড়কের মাঝে ২.৫ একর খাসজমির জলাশয় ভরাট করে হারুয়া বাজার স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। এ লক্ষ্যে কয়েক মাস আগে ময়মনসিংহের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান সরেজমিন পরিদর্শন করে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদকে নির্দেশনা প্রদান করেন। পরে পর্যাপ্ত মাটি সংগ্রহের স্বার্থে হারুয়া-খালবলা সড়কের পাশে অর্ধেক জলাশয় অধিক গভীর করে মাটি উত্তোলনের উদ্যোগ নেন মাইজবাগ ইউপি চেয়ারম্যান। ফলে অপরিকল্পিত মাটি উত্তোলন ও রাস্তাটির যথাযথ সংরক্ষণ না করায় আজ ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে।

রাস্তাটি ধসে পড়লে উপজেলার পূর্বাঞ্চলবাসীর উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ ব্যাহত হবে। প্রতিদিন শত শত যানবাহন ও সাধারণ মানুষ ওই সড়কে দুর্ঘটনার বোঝা মাথায় নিয়ে চলাচল করছে। দুর্ঘটনা রোধে স্থানীয়রা বাঁেশর কঞ্চির মাথায় লাল কাপড় বেঁধে জানান দিচ্ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কার কথা। স্থানীয় দুলাল মিয়া (৫৫) বলেন, মাত্র কয়েকমাস আগে সংস্কার করা পাকা সড়কটির নিচের মাটি প্রকল্পের নামে উত্তোলন করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আর কয়েকদিনের মধ্যে গর্ত ভরাট না করলে সড়কটি পুরোপরি ধসে পড়বে এবং
যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে লাল নিশান টানিয়ে দিয়েছি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাইজবাগ ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার পারভেজ বলেন, প্রকল্পের স্বার্থেই মাটি উত্তোলন করা হয়েছে। আর অধিক বৃষ্টিপাতের কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে রাস্তাটি মেরামতের মত পর্যাপ্ত তহবিল ইউনিয়ন পরিষদে নেই। আর রাস্তাটি যেহেতু এলজিইডি বিভাগের তাই তাদেরই
মেরামত করা উচিত।

উপজেলা প্রকৌশলী তৌহিদ আহমেদ বলেন, অধিক বৃষ্টিপাত ও বাজারের পানি নিষ্কাশনের ফলে হারুয়া-খালবলা রাস্তাটিতে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আপাদত কিছু বস্তা ফেলে রাস্তাটি মেরামত করা হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জনস্বার্থে রাস্তাটি সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হবে। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo