• জাতীয়

রোহিঙ্গা ইস্যুটা হারিয়ে যাচ্ছে না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • জাতীয়
  • ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:১৯:৫২

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ আফগানিস্তানসহ বিশ্বে চলমান নানা ইস্যুর কারণে রোহিঙ্গা ইস্যু হারিয়ে যাচ্ছে এ কথা ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ড. মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুটা হারিয়ে যাচ্ছে না। যদিও এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও রাখাইনে ফেরত যায়নি। কিন্তু আপনাদের প্রশংসা করা উচিত যে রোহিঙ্গা শব্দটা এখন পৃথিবীব্যাপী সবাই জানে। রাজনৈতিক নেতৃত্বরা জানে রোহিঙ্গা কী জিনিস। এটা বাংলাদেশের একটি বড় কৃতিত্ব। আমার আশা একদিন না একদিন তারা ফেরত যাবে।’

বাংলাদেশের প্রচারণার কারণেই রোহিঙ্গাদের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে সবাই সেটা সম্পর্কে জানতে পেরেছে উল্লেখ করেন ড. মোমেন। তিনি বলেন, ‘এমনিতে বলা হচ্ছিল রোহিঙ্গারা ব্যাস্তুচুত নাগরিক। আমাদের বিভিন্ন প্রচারণার কারণে সবাই জেনেছে, তারা নির্যাতিত হয়েছে। এটা আমাদের বড় অর্জন। এরা যে নির্যাতিত হয়েছে, সেই চিত্রটাও সারা বিশ্ব এখন জানে। এটাতে কোনো ঘাটতি নাই, এজন্য আমরা আশাবাদী।’

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে ঢাকার পক্ষ থেকে নতুন কোনো প্রস্তাব দেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে নতুন কোনো প্রস্তাব দেব না। আমরা জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরব। তবে ওখানে রোহিঙ্গার ওপর যে সাইন্ড ইভেন্ট হবে সেখানে মোটামুটিভাবে অনেকগুলো দেশ স্বেচ্ছায় আমাদের সঙ্গে বসতে চায়।’

জাতিসংঘে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘জাতিসংঘের কমিটি এখনও বলে নাই, সেখানে মিয়ানমারের ন্যাশনাল গভমেন্ট রিপ্রেজেন্ট করতে দেবে নাকি মিয়ানমার মিলিটারি গভমেন্ট থাকবে।’

চায়নার ত্রিপক্ষীয় বৈঠক প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, ‘চায়নার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এখন মিয়ানমারে সামরিক শাসন। নতুন সামরিক সরকারের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক হয়নি। চায়না দেখছে, চায়না আমাদের বলেছে; তারা সেখানকার পরিস্থিতি স্ট্যাবল হওয়ার অপেক্ষা করছে। যখন সরকার স্ট্যাবিলাইজ হবে তখন তারা আবার শুরু করবে। এখানে বলে রাখা ভালো নতুন মিয়ানমার সরকার বলেছে, তারা আগের সরকারের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল, সেগুলোকে সম্মান দেখাবে। তারা বলেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিকভাবে আলাপ করে সমাধান করবে। সুতরাং আমরা এখনও আশাবাদী।’

এ সময় মোমেন জানান, আসিয়ানের যে নতুন বিশেষ দূত নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের সঙ্গে আমাদের সরাসরি যোগাযোগ হচ্ছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo