• অর্থনীতি
  • লিড নিউজ

হিলিতে কমেছে চালের দাম, ক্রেতা না থাকায় বিপাকে ব্যবসায়ীরা

  • অর্থনীতি
  • লিড নিউজ
  • ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১০:৩০:২৬

ছবিঃ সিএনআই

হিলি প্রতিনিধিঃ ভারত থেকে চাল আমদানি অন্যদিকে খোলা বাজারে সরকারী চাল বিক্রির প্রভাবে হিলি স্থলবন্দরে পাইকারী ও খুচরা বাজারে কমেছে সবধরনের চালের দাম। তিন দিনের ব্যবধানে প্রকারভেদে কেজিতে চালের দাম কমেছে ২ থেকে ৩ টাকা। দাম কমলেও বাজারে ক্রেতা না থাকায় বিপাকে পড়েছে আমদানিকারকরা ও খুচরা বিক্রেতা ।

এদিকে আমদানিকৃত চাল বন্দর থেকে দ্রুত চাল ছাড়করণে সবধরনে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। দেশের বাজার স্বাভাবিক রাখতে গেলো ২৮ই আগষ্ট থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয় ভারত থেকে চাল আমদানি। আমদানি শুরুর প্রথমদিকে স্থানীয় বাজারে তেমন একটা প্রভাব না পড়লেও সম্প্রতি সরকারী নানা উদ্যোগে কমতে শুরু করেছে আমদানিকৃত চালের দাম। সরকারীভাবে খোলা বাজারে কম মূল্যে চাল বিক্রির ফলে আমদানিকৃত চালের চাহিদা কমেছে অনেকটা যে কারনে বন্দরে এবং স্থানীয় বাজারে তেমন মিলছে না ক্রেতার দেখা। আমদানিকৃত এসব চাল কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা কমলেও ক্রেতা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারক ও খুচরা বিক্রেতেরা। এদিকে খুচরা বাজারে চালের দাম কমায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে,তবে আরো দাম কমানোর দাবি তাদের।

হিলি বাজার ঘুৃরে দেখা যায়,ভারত থেকে আমদানিকৃত স্বর্ণা ও স্বর্ণা-৫ জাতের চাল কেজিতে ২ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা কেজি দরে, ৪৬ টাকা কেজি আটাশ চাল কেজিতে
২ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা দরে এবং সম্পা কাটারি কেজিতে ৩ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকা দরে।

হিলির চালের আড়ৎদ্বার বাবুল মন্ডল বলেন,হিলি পানামা পোর্টে ভারত থেকে চাল আমদানি হচ্ছে অন্যদিকে খোলা বাজারে সরকার কম দামে চাল বিক্রি শুরু করেছে। এর কারনে আমাদের চাল বিক্রি কমে গেছে,চালের তেমন ক্রেতাও নেই। দাম কমেছে তারপরও ক্রেতারা চাল কিনতে এসে ঘুরে যাচ্ছে।

হিলির খুচরা বিক্রেতা মমিন বলেন,আগে আমাদের আড়ৎ থেকে প্রতিদিন দুই-তিনটি করে চালের ট্রাক দেশের বিভিন্ন মোকামে যাতো।দোকান থেকেও দুই থেকে তিনশ বস্তা চাল বিক্রি হতো। আর এখন সারাদিন দোকানে বসে ১০ বস্তা চালও বিক্রি করতে পারি না।চাল বিক্রি না হওয়াতে আমরা বিপাকে পড়েছি। বাজারে চাল কিনতে আসা সালাম ও নাজমুল নামের দুইজন ক্রেতা জানান,আগের থেকে বাজারে চালের দাম কিছুটা কমেছে। এতে করে আমাদের জন্য ভালো। দামটা যদি আরো একটু কমতো তাহলে আরো ভালো হতো।আগের থেকে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা কমেছে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন,হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা ৬০ হাজার মেট্টিক টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে। অনুমতি পাবার পর আমরা এলসি খুলেছি এবং ইতিমধ্যে বন্দরে চালও ঢুকছে।ভারত অভ্যন্তরে পাইপ লাইনে আমাদেও প্রচুর পরিমাণে চাল
রয়েছে সে চাল গুলো কিছুদিনের মধ্যে বন্দরে ঢুকবে। আমদানি শুরুর দিকে মোকাম গুলোতে চালের বেশ একটা চাহিদা ছিলো সেটা এখন আর নেই।

তিনি আরো বলেন,দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারীভাবে খোলা বাজারে স্বল্পমূল্যে চাল বিক্রির কারনে চালের চাহিদা কমে গেছে। বাজারে চালের বেচা-কেনা নেই,দামও নেই। হিলি শুল্ক স্টেশনের উপ-কমিশনার কামরুল ইসলাম বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কম শুল্কে চাল আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। আমদানিকৃত এসব চাল শুলকায়ন করে বন্দর থেকে দ্রুত ছাড়করণে ব্যবসায়ীদের সবধরনে সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে । এতে করে বন্দর অভ্যন্তরে চাল মজুদেও কোন সুযোগ থাকছে না।

তিনি আরো বলেন, গেলো ২৮ই আগষ্ট চাল আমদানি শুরু পর থেকে এখন পর্যন্ত ভারত থেকে সাড়ে ৫ হাজার মেট্টিক টন চাল আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo