শেরপুর প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাসের অবনতিশীল পরিস্থিতিতে শেরপুরে এবার জনস্বার্থে সেবাদানকারী চিকিৎসকদের নাম তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ১ আগস্ট রবিবার সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ফেসবুক পেইজে শেরপুর সদরসহ ৫ উপজেলার জনসাধারণের সুবিধার্থে ১৭ জন চিকিৎসকের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেইসাথে ওই তালিকায় যোগাযোগ সুবিধার্থে দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের মোবাইল নম্বারও। অন্যদিকে, নিরাপত্তার স্বার্থে কোন ব্যক্তি বা স্বেচ্ছাসেবীকে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে সরাসরি হাসপাতালগুলোতে প্রবেশের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, কেউ জ¦র, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা অথবা শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে সরাসরি জেলা সদরের ২৫০ শয্যার হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে না গিয়ে ওই তালিকায় প্রকাশিত চিকিৎসকদের সাথে মোবাইল ফোনে
কথা বলে পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন।
সদর উপজেলায় সেবা নেওয়া যাবে, ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. মোবারক হোসেন (০১৯৭৮-১৫১১৬১) ও ডা. খাইরুল কবির (০১৭১১-০৪৪৫৮৬)সহ কর্মরত ডা. তানজিনা হক তমা (০১৭৪৮-০৪১৯০৫), ডা. রাকিবুল ইসলাম (০১৭৫৬-৮০০৩২২) ও ডা. আকরাম হোসেন (০১৭১৫-২৪৭৯২১)। শ্রীবরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডা. শাহনেওয়াজ নোমান (০১৭২১-১৪১৯০৫), ডা. জুলফিকার সাইফ (০১৮১০-১৫৯১৪৭) ও ডা: সৈয়দা জোহরা তুজ আলম (০১৭৭৯-৬৩৯০২১)। নালিতাবাড়ী কমপ্লেক্সে কর্মরত ডা. ইফরীত আরা ফাগুন (০১৫১১৪- ৭৪৮৫৩), ডা. নিপা কর্মকার (০১৬৮০-২৪১০২০) ও ডা. মেহেদী হাফিজ সুমন (০১৭২৬-৩৯৩৮৮৫)। নকলা কমপ্লেক্সে কর্মরত ডা. আবদুল্লাহ আল নোমান (০১৭৩৯-১৭৫২১৪), ডা. তানজিনা মাহবুব (০১৩১১-৭৭৩১১৫) ও ডা. এ কে এম নাজমুস ছাকিব (০১৭৪৮-৭৬০৭০৫)।
ঝিনাইগাতী কমপ্লেক্সে কর্মরত ডা. শেখ মো. মনিরুজ্জামান (০১৭৩০-৮৭৬৬৬২), ডা. সাদিয়া আফরোজ (০১৮১০-১৫৯১৩৮) ও ডা. আশফিয়া আমরিন (০১৮১০-১৫৯১৩৯)। এদিকে, শেরপুরে অবনতিশীল করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফ থেকে জনস্বার্থে করোনায় সেবাদানকারী চিকিৎসকদের তালিকা প্রকাশ করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সামাজিক সংগঠন শেরপুর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার ও নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগের আহবায়ক
শিক্ষাবিদ আবুল কালাম আজাদ।
এ ব্যাপারে শেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনওয়ারুর রউফ বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। এ জন্য জনগনের সুবিধার্থে জেলায় সেবাদানকারী চিকিৎসকদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি করোনায় আক্রান্ত যারা বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে অক্সিজেন না নিতে পরামর্শ দিয়ে বলেন, কোন রোগীর কখন, কি পরিমান ও কত সময়ের জন্য অক্সিজেন লাগবে- সেটা একমাত্র চিকিৎসকই নির্ধারণ করবেন। হাসপাতালে অক্সিজেন সংকটও কেটে উঠছে। কাজেই বাড়িতে অক্সিজেন নেওয়ার বিষয়েও সংশ্লিষ্টদের প্রতি সতর্ক হওয়ার আহবান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, জেলায় ৩১ জুলাই পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৭১ জন। আর বর্তমানে আক্রান্ত রয়েছেন ৯শ জন। তাদের মধ্যে ৬০ জন জেলা হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ও ৬২ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। অন্যরা রয়েছেন হোম আইসোলেশনে।
মন্তব্য ( ০)