ছবিঃ সিএনআই
পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও বৈরি আবহাওয়া ও লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় সাগরে ইলিশ ধরতে যেতে পারছেন না পটুয়াখালীর জেলেরা। নিষেধাজ্ঞা শেষ হবার পর জেলেরা ভেবেছিলেন সাগরে জাল ফেলবেন এবং ইলিশ সংগ্রহ করবেন। কিন্তু শুক্রবার থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং মাছ ধরার নৌকা-ট্রলারগুলোকে পরবর্তীতে নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপক‚লের কাছাকাছি অবস্থান করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফলে বৈরি আবহাওয়ায় হতাশ এবং অসহায় হয়ে পরেছে হাজার হাজার উপকুলীয় মৎসজীবী। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় দেখা গেছে, আগুনমুখা নদীর বিভিন্ন ঘাটে নোঙর করা রয়েছে মাছ ধরার ট্রলারগুলো। এছাড়াও উপক‚লীয় অঞ্চল মহিপুরের বিভিন্ন এলাকায় আরো শত শত ট্রলার নোঙ্গর অবস্থায় দেখা গেছে। মহিপুর এলাকার মৎসজীবীরা জানিয়েছেন, সময়মতো বঙ্গোপসাগরে জাল ফেলতে না পারলে শুরুতেই লোকসানে পড়তে হবে তাদের। সংকটের মুখে বিপুল টাকা বিনিয়োগ করে হতাশায় পড়েছেন এসব মহাজন এবং জেলেরা। ট্রলার মেরামত করে সাগরে যাওয়ার উপযোগী করতে একেকজন ট্রলার মালিক দুই-তিন লাখ টাকা খরচ করে। ট্রলারের তেল কেনা এবং শ্রমিক-মাঝিদের ২৫-৩০ হাজার টাকা ইতিমধ্যে অগ্রিম দিতে হয়েছে। ট্রলার মালিক ও জেলেরা এসব টাকার বেশিরভাগই মহাজনদের কাছ থেকে ধার ও সুদে এনেছেন ।
জেলা মৎস্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় নিবন্ধিত প্রায় ৩৩ হাজার ১৫২ জন জেলে রয়েছেন। এর মধ্যে রাঙ্গাবালী উপজেলায় আছেন ৯ হাজারের বেশি জেলে। এছাড়াও মহিপুর, কুয়াকাটা, গলাচিপা উপজেলার সকল জেলেরা নিষেধাজ্ঞা শেষ হবার পর সাগরে যাবার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। রাঙ্গাবালী এলাকার মৎসজীবী সিকদার প্যাদা বলেন, ‘অবরোধ শেষে সাগরে যাওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। এরই মধ্যে সাগর উত্তাল হওয়ায় আমাদের সমস্ত আশা হতাশায় পরিনত হয়েছে’। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ জানিয়েছেন, লঘুচাপের কারনে সাগর উত্তাল। বঙ্গোপসাগরে তিন নাম্বার সতর্ক সংকেতের ব্যাপারে জেলেদের অবহিত করা হয়েছে।
জব ডেস্কঃ সীমান্ত ব্যাংক পিএলসিতে ‘ব্রাঞ্চ ম্য...
পাবনা প্রতিনিধিঃ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পাবনার ঈশ্...
নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলে আন্ত:জেলা মোটরসাইকেল চোর চক...
ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর জেলা পরিষদের এক কর্মকর্তা...
মন্তব্য ( ০)