• রাজনীতি

বিএনপি এখনো ধান ভানতে শিবের গীত গেয়ে যাচ্ছে : ওবায়দুল কাদের

  • রাজনীতি
  • ২৭ জুলাই, ২০২১ ১৬:২০:৪৭

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ দেশ ও জনগণের এই সংকটে বিএনপি এখনো অসহায় মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে ধান ভানতে অবিরাম শিবের গীত গেয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির উদ্যোগে ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রসরমান ডিজিটাল প্রযুক্তি: পথিকৃৎ মুজিব হতে সজীব’ শীর্ষক ওয়েবিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।  

ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন কোনো রাজনীতি নয়। এখন রাজনীতি হচ্ছে মানুষকে বাঁচানো এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো। মানুষ বেঁচে না থাকলে কাকে দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বিএনপি? 

দেশের মানুষকে বাঁচাতে মানুষের সুরক্ষায় এখন দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি শেখ হাসিনা সরকারকে নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যাচার করছে। কিন্তু শেখ হাসিনার পুত্র-কন্যা নিজ নিজ যোগ্যতা ও অধিক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তারা হাওয়া ভবনের মতো বিকল্প কোথাও কোনো ক্ষমতাকেন্দ্র বা সরকারের কোনো কাজে হস্তক্ষেপ করে বাধা সৃষ্টি করেনি। যা বিএনপির শাসনামলে ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, উন্নয়ন ও অর্জনের স্থপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় আসন্ন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপই হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। 

তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রযুক্তিমুখী অভিযাত্রা শুরু করেন। ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বঙ্গবন্ধু বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপনের মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নের যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ। সততা, নিষ্ঠা এবং দক্ষতার সঙ্গে সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, মহামারি করোনায় যখন থমকে গেছে গোটা বিশ্ব তখন, একের পর এক লকডাউনে স্থবির সরকারি সেবা আর ব্যবসা-বাণিজ্য। এখন আমরা বুঝেছি ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে কী? করোনাকালে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা বাণিজ্যসহ প্রতিটি খাতে তথ্যপ্রযুক্তির যাদুকরী স্পষ্ট উপস্থিতি অনুভব করেছে বাংলাদেশ। করোনাজনিত ছন্দপতনের মধ্যেও ডিজিটাল সেবায় দেশের জনগণ পেয়ে যাচ্ছে গতিময় সেবা। কোনো কিছুই থেমে নেই,‌ এগিয়ে চলেছে ডিজিটাল সেবার আওতায়। 

সজীব ওয়াজেদ জয়কে এক নির্মোহ, নিবেদিত প্রাণ, দেশপ্রেমিক এবং স্বপ্নবান বিজ্ঞানী অভিহিত করে তিনি বলেন, যাকে নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত গর্ববোধ করি। আর আইসিটি খাতের এ পরিবর্তনের নীরব স্থপতি সজীব ওয়াজেব জয়। 

আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতা বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনের ম্যানিফেস্টোতে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন ঘোষণা করা হয়েছিল তখন মানুষ এ নিয়ে নানান ব্যঙ্গ করেছিল। জনগণ ব্যাঙ্গাত্মক করে বলতো ডিজিটাল বাংলাদেশ আবার কী? আজ মাত্র একযুগের ব্যবধানে এদেশের মানুষকে বোঝাতে হয় না। মানুষ উল্টো বুঝিয়ে দিচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে কী? 

তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশ আর একযুগের আগের বাংলাদেশ এক নয়। আমরা এখন নতুন বাংলাদেশের বাসিন্দা, বদলে যাওয়া বাংলাদেশ এখন পারমাণবিক ও স্যাটেলাইট বিশ্বের সদস্য। বদলে যাওয়া বাংলাদেশ আজ জয় করেছে অসীম সম্ভাবনার সুনীল সমুদ্রসীমা। বাংলাদেশ আজ তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ ঘুচিয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, পিতার অর্জনের ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুস্পষ্ট অভিলক্ষ্যে। আর এ লক্ষ্য অর্জনের প্রভাবক হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি। প্রযুক্তির বদলে যাওয়া যে জাতি ধরতে পেরেছে তারাই এগিয়েছে টেকসই উন্নয়নের গতিময় পথনকশা ধরে। আর এখানেই দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। যিনি ডিজিটাল বিশ্বে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘রোয়ারিং টাইগার’ হিসেবে। 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে আরও সংযুক্ত ছিলেন উপকমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ডুয়েটের উপাচার্য ডক্টর হাবিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মুনাজ আহমেদ নূর। 

ওয়েবিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo