• শিশু সংবাদ

নিখোঁজ মাকে ফিরে পেয়ে মহাখুশি ৫ বছরের শিশু রোহানী

  • শিশু সংবাদ
  • ২৬ জুলাই, ২০২১ ১৪:৩৫:৩৬

ছবিঃ সিএনআই

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস পর নিখোঁজ মাকে ফিরে পেয়ে মহাখুশি হয়েছে তার ৫ বছরের শিশু রোহানী। পাশাপাশি স্বজনেরা ভারসাম্যহীন মীমকে দীর্ঘ দিন পর কাছে পেয়ে তারা ধন্যবাদ জানান শিবালয় থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফিরোজ কবিরকে।

জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস ধরে নিখোঁজ ছিল ভারসাম্যহীন মীম আক্তার (২০)। মাকে হারিয়ে সবচেয়ে বেশী অসহায় হয়ে পড়ে তার ৫বছরের শিশু সন্তান রোহানী। অসহায় রোহানী মাকে ফিরে পাবার আশায় দিনের পর দিন কাঁদতে থাকে এবং অপেক্ষার প্রহর গুণতে থাকে সে। পাশাপাশি মীমকে হারিয়ে পাগল প্রায় হয়ে পড়ে তার পরিবার। সাম্ভাব্য সব জায়গাতেই খুঁজাখুঁজি করা হয়। কিন্তুু কোন সন্ধান পাওয়া না যাওয়ায় তার পরিবার ধরে নিয়েছিল মীম আর বেঁচে নেই। কিন্তুু মীম মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে নিখোঁজ থাকে সে। শরিয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার বড় নওগাঁ গ্রামের মিলন বেপারীর মেয়ে মীম। অবশেষে মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) মো. ফিরোজ কবিরের সহযোগীতায় মীমকে ফিরে পেল তার পরিবার।

শিবালয় থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফিরোজ কবির জানান, গত শনিবার ( ২৪ জুলাই) সন্ধ্যায় শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর বাজারে মেয়েটিকে ঘুরাঘুরি করতে দেখতে পান স্থানীয়রা। তার পরিচয় জানতে চাইলে এলোমেলোভাবে কথা বলতে থাকে মীম। এতে স্থানীয়রা মেয়েটিকে ‘রোহিঙ্গা’ মনে করে থানা পুলিশে খবর দেন। থানা পুলিশ সেখান থেকে মীমকে থানায় নিয়ে আসে। মেয়েটির সাথে কথা বলে তার পরিচয় জানতে চাইলে নিজের নাম বলে মীম, বাড়ী শরিয়তপুরের ডামুড্যা এতটুকই বলতে পারেন সে। এ সূত্র ধরেই মীমের পরিবারের সন্ধানে নামে শিবালয় থানা পুলিশ। শরিয়তপুরের থানা পুলিশ, স্থানীয় জন প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন জায়গায় টেলিফোনে যোগাযোগ করে রাতেই মীমের স্বজনদের সন্ধান পাওয়া যায়। রোববার ( ২৫ জুলাই) বিকালে মীমের দুই মামা অন্তর ব্যাপারী ও সোহাগের কাছে মীমকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। দীর্ঘ আড়াই মাস পরে মীমকে পাওয়া

গেছে এ খবরে মহাখুশি তার ৫ বছরের শিশু সন্তান রোহানী এবং পরিবারের সকলেই। ভাগ্নিকে ফিরে পাওয়ায় মীমের মামা কৃতজ্ঞতা জানান, শিবালয় থানা পুলিশের প্রতি। তিনি বলেন, বিষয়টি আন্তরিকতা ও মানবিকতার দৃষ্টিতে না দেখলে হয়তো মীমকে আর খুঁজে পাওয়া যেত না। রাস্তা-রাস্তাই পাগলের ন্যায় ঘুরতে হতো তাকে। মীমের স্বামী রনি মুন্সি জানান, আমাদের সর্ম্পকের বিয়ে। মীমের পরিবার আমাদের সম্পর্ক ভাল ভাবে নেয়নি। গত রোজার মাসে হঠাৎ বাবার বাড়ি
থেকে মীম নিখোঁজ হন। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজা হয় তাকে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিসহ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। জানানো হয় থানা পুলিশকেও। কিন্তু কিছুতেই তার সন্ধান মিলছিলো না। ভেবেছিলাম হয়তো সে আর বেঁচে নেই। এখন তাকে ফিরে পেয়ে পরিবারের সবাই খুশি। ওসি সাহেবের সহযোগিতায় আমার ৫ বছরের মেয়ে রোহানী তার মা’কে ফিরে পেয়েছে।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ কবির বলেন, মীমকে আড়াই মাস পর তার স্বজনরা ফিরে পেল। আর ৫ বছরের শিশু কন্যা পেল তার হারিয়ে যাওয়া মাকে। এর চাইতে আনন্দের আর কি হতে পারে। মীমকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি এটা পুলিশের বড় স্বার্থকতা। এমন একটি ভাল কাজ করতে পেরে সৃষ্টি কর্তা মহান আল্লাহর কাছে কোটি কোটি শোকরিয়া আদায় করছি।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo