• অর্থনীতি

পেঁয়াজের দাম কমলেও, দাম বেড়েছে সয়াবিন তেলের

  • অর্থনীতি
  • ১২ জুন, ২০২১ ১৮:৪১:২৯

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ ভারত থেকে আবার পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। গত একদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজে পাঁচ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে দর নির্ধারণের পর গত প্রায় ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো নির্ধারিত দরে সয়াবিন, পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছেন না। এছাড়া দাম বেড়েছে, এমন পণ্যের তালিকায় আরো রয়েছে ডিম ও ব্রয়লার মুরগি।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মালিবাগ, শান্তিনগর ও কাওরানবাজারে খোঁজ নিয়ে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দামের এ চিত্র পাওয়া যায়। সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশও (টিসিবি) গতকাল তাদের বাজারদরের প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেছে।

ব্যবসায়ীরা বলেছেন, উৎপাদন সংকট দেখিয়ে গত ৩০ এপ্রিল থেকে ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। কোটি কোটি টাকার এলসি খোলা থাকলেও নিষেধাজ্ঞার কারণে গত ৪০ দিনে কোনো পেঁয়াজ আসেনি। পরে গত বুধবার রাত থেকে আবার পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। প্রতি কেজি পেঁয়াজে পাঁচ টাকা কমে গতকাল রাজধানীর বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

কাওরানবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আমিনুর রহমান বলেন, বর্তমানে বাজারে যে দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে তা বেশি। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু হওয়ায় ও বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো থাকায় দাম আরো কমবে বলে তিনি জানান।

এদিকে গত ২৭ মে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে ভোজ্য তেলের নতুন দর নির্ধারণ করা হলেও এখনো খুচরা বাজারে তা কার্যকর হয়নি। নির্ধারিত দরে রাজধানীর বাজারে এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন ও পাম সুপার বিক্রি হচ্ছে না। গতকাল বাজারে এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন কোম্পানিভেদে ১৪৫ থেকে ১৬০ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৬৬০ থেকে ৭২০ টাকা, খোলা সয়াবিনের লিটার ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা ও পাম সুপার ১১৪ থেকে ১১৮ টাকা বিক্রি হয়। কিন্তু এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন সর্বোচ্চ ১৫৩ টাকা ও পাম সুপার ১১২ টাকা লিটার বেঁধে দেওয়া হয়েছে। শুধু পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিনের বেঁধে দেওয়া দর ৭২৮ টাকার কমে বাজারে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo