• বিশেষ প্রতিবেদন

চরকাজল-চরবিশ্বাসে জ্বলবে বিদ্যুতের আলো

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ১২ জুন, ২০২১ ১১:৩৩:২৮

ছবিঃ সিএনআই

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। এতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করার কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে পটুয়াখালী জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরকাজল ও চরবিশ্বাসে নেওয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ। ২২ হাজার ৬৬৬ জন গ্রাহক সংযুক্ত হয়েছে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে। পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার রাজ্জাকুর রহমান জানিয়েছেন, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলাসহ বিচ্ছিন্ন দ্বীপ গুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ বা সরবরাহের কাজ শেষ পর্যায়ে। ওই অঞ্চল গুলো ভোলা এর কাছাকাছি হওয়ায় ভোলা থেকে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যম বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে। চরকাজল ও চরবিশ্বাস এই দুই জায়গায় কাজ শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু অঞ্চলের গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া
হয়েছে।

জানা গেছে, ১৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীতে সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে বিদ্যুতের লাইন স্থাপন করা হয়েছে যা দেশে সবচেয়ে দীর্ঘতম সাবমেরিন ক্যাবল লাইন। চরমুজিবে উপকেন্দ্র করে গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ও চরবিশ্বাস, দশমিনা উপজেলার চরবোরহান, দশমিনা সদর ইউনিয়নের চরহাদি, রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন দেওয়া হয়েছে। ভোলা জেলা থেকে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে ৭৯২ কিলো মিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করা হয়েছে ।
এসব অঞ্চলে মোট ৪৫টি গ্রাম রয়েছে। গ্রামগুলো বিদ্যুতায়িত হলে গ্রাহক হবে ২২ হাজার ৬৬৬ জন। এসব এলাকায় কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ মেগা ওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে। পূর্বে চরকাজল ও চরবিশ্বাস ইউনিয়ন দুটি দ্বীপাঞ্চল হওয়ায়  সরাসরি বিদ্যুতের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। সরেজমিনে দেখা গেছে, গ্রাহক হয়রানি বন্ধ করতে চরাঞ্চলে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রতিটি গ্রাহকের বাড়িতে মিটারের লাইনের তার টানা আছে। সরকার নির্ধারিত ফি জমা দিলেই অল্প সময়ের মধ্যে সংযোগ দেওয়া হবে। চরবিশ্বাসের স্থানীয়রা বলেছেন, তাদের ঘরে কয়েক বছর ধরে সোলার লাইট জ¦লছে। কিন্তু তাতে খুব একটা প্রয়োজন মেটাতে পারেনা। এবার বিদ্যুৎ পাওয়ায় এই দ্বীপ এলাকায় আইসিটি, শিক্ষা, কৃষি ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে। যা এ এলাকার মানুষের কাছে স্বপ্নের মতো।

পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি ভিশন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া। বাংলাদেশের সব জায়গা যখন আলোয় ঝলমলে তখন এ এলাকা অন্ধকার ছিল। উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎ অপরিহার্য। বিদ্যুৎ সঞ্চলন শুরু হওয়ার সাথে সাথে এখানকার জীবন মানের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo