• আন্তর্জাতিক

মেয়েদের মোবাইল দেওয়া উচিত নয়, এতে ধর্ষণ বাড়ে,  বিতর্কিত মন্তব্য ভারতে

  • আন্তর্জাতিক
  • ১০ জুন, ২০২১ ১৮:০৪:৪৯

ছবিঃ সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের উত্তরপ্রদেশের নারী কমিশনের একজন সদস্য বলেছেন, ‘মেয়েদের মোবাইল ফোন দেওয়া উচিত নয়। কারণ এটি তাদেরকে ধর্ষণের দিকে ধাবিত করে এবং ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পায়।’ রাজ্যের আলিগড় জেলায় নারীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের এক শুনানিতে অংশ নিয়ে বিতর্কিত এই মন্তব্য করে দেশটিতে সমালোচনার মুখে পড়েছেন উত্তরপ্রদেশ নারী কমিশনের সদস্য মীনা কুমারী। বৃহস্পতিবার ভারতীয় দৈনিক ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মীনা কুমারী বলেন, ‘মেয়েদের হাতে মোবাইল ফোন দেওয়া ঠিক নয়। মেয়েরা মোবাইল ফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ছেলেদের সঙ্গে কথা বলে এবং পরে তাদের সঙ্গে পালিয়ে যায়। তাদের মোবাইল ফোন তল্লাশিও করা হয় না। এসব বিষয়ে পরিবারের সদস্যরাও সচেতন নন। পরে যৌন নির্যাতনের শিকার হয় তারা।’

কন্যাসন্তানের মায়েদের আচরণ কেমন হওয়া উচিত তা নিয়েও পরামর্শ দিয়েছেন মীনা কুমারী। তিনি বলেন, ‘মেয়েদের লালন-পালনের ক্ষেত্রে মায়েদের যত্মবান হওয়া দরকার। মেয়েরা কখন কার সঙ্গে মেলামেশা করছে তা দেখে রাখা দরকার।’

নারী কমিশনের এই সদস্যের এমন মন্তব্যের পর দেশটিতে বিতর্কের ঝড় শুরু হয়েছে। মোবাইল ফোনের কারণে ধর্ষণ বাড়ছে— এমন যুক্তির ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রত্যেকদিন মেয়েদের বিরুদ্ধে ২০-২২টি অপরাধের ঘটনা ঘটে। দেখা যায় তার মধ্যে ৫-৬টি অপরাধের জন্য এই মোবাইল ফোনই দায়ী। ফোনে বন্ধুত্ব পাতিয়ে মেয়েরা পালিয়ে যায়। পরে নির্যাতনের শিকার হয়।

উত্তরপ্রদেশের নারী কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট অনুজা চৌধুরী বলেন, মেয়েদের হাতে মোবাইল দেওয়া অনুচিত— এটা বলা ঠিক নয়। তবে তারা যাতে মোবাইলের ভুল ব্যবহার না করে সেদিকে নজর রাখা দরকার। অচেনা মানুষের সঙ্গে কথা না বলে সেটাও দেখতে হবে।

গত জানুয়ারিতে ভারতের জাতীয় নারী কমিশনের সদস্য চন্দ্রমুখী দেবী বাদাউন জেলায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের একটি ঘটনার ব্যাপারে মন্তব্য করে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, ধর্ষণের শিকার নারী যদি সন্ধ্যায় বাসার বাইরে বের না হতেন, তাহলে তিনি ধর্ষণের ঘটনা এড়াতে পারতেন। পরে দেশজুড়ে সমালোচনা শুরু হলে বিতর্কিত এই মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেন তিনি।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo