• বিশেষ প্রতিবেদন
  • লিড নিউজ

নাগরপুরের ভাদ্রা ইউনিয়নে পুরনো দুটি সেতু ভেঙ্গে পড়ায় জন দূর্ভোগ চরমে

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • লিড নিউজ
  • ০৮ জুন, ২০২১ ১৬:৫৬:৫৪

ছবিঃ সিএনআই

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার নোয়াই নদীর ওপর নির্মিত ভাঙ্গা সেতু দুটি দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার বা পুননির্মাণ না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ১০ গ্রামের মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গা সেতুটির সংস্কার বা পুননির্মাণ না হওয়ার অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসী। স্থানীয়রা জানায়, সেতুটি নির্মাণের পর ছয় থেকে সাত বছর পর বন্যায় প্রথমে সেতুর উত্তর পাশের একটি অংশ দেবে গিয়েছিল। সেটা আর মেরামত করা হয়নি। সেতুটি ভেঙ্গে চলাচল অনুপযোগী হয়েছে চার বছর। আমরা শুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানি না থাকায় বিকল্প রাস্তায় নদীর উপর দিয়ে চলাচল করি। কিন্তু বর্ষায় নদীতে পানি এলেই এই যাতায়াতের রাস্তাটি ডুবে যায়। তখন সেতুর উপর অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হয়।

এতে অসুস্থ রোগী, গর্ভবতী মা, স্কুল- কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। সেতু না থাকায় কৃষক তার জমির ফসল বাজারে বিক্রি করতে
পারে না আবার কৃষিপণ্য বাজার থেকে ক্রয় করে বাড়ীতে নিয়ে আসতে পারছে না। এলাকাবাসী দাবী- সেতু দুটি শীঘ্রই পুনর্র্নিমাণ করে চলাচলের সুব্যবস্থা করা হয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে , দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে সেতুর ভিমগুলো নড়বড়ে, একটি গার্ডার ভেঙে পানিতে পড়ে গেছে ও রেলিং ভেঙে গেছে। এ সেতুটি বিহালী খামার, জাঙ্গালিয়া, সিংদাইর, কাশিনারাসহ মোট ১০ টি গ্রামের মানুষের যাতায়াত মাধ্যম । এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, নাগরপুর উপজেলার সবচেয়ে অবহেলিত এই ভাদ্রা ইউনিয়ন।

টাঙ্গাইল - আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যতীত এই ইউনিয়নে ভালো কোন রাস্তা নেই। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে এ পর্যন্ত এই ইউনিয়নের কোন রাস্তা পাঁকাকরন বা কোন ব্রীজ- কালভার্ট সংস্কার, পুননির্মাণ বা নতুন করে তৈরী করা হয়নি। প্রতি মাসেই উপজেলা প্রশাসনের মাসিক আইন শৃঙ্খলা মিটিং এ এ বিষয়ে বারবার উপস্থাপিত হলেও কোন উন্নয়নের ছোঁয়া ভাদ্রা ইউনিয়নে পরছে না।

ফলে আমরা রাস্তাঘাট, ব্রীজ- কালভার্টসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত অবস্থায় আছি। নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি গণ এ বিষয়ে অবগত করছেন বারবার। সেতু দুটি সংস্কারের সুযোগ নেই। তবে ভাঙ্গা সেতু দুটি আগে অপসারণ করতে হবে। পরে নতুন সেতু নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন হলে সেখানে নতুন করে সেতু করা যাবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo