• বিশেষ প্রতিবেদন

কালিয়াকৈরে কদর বেড়েছে তালের শাঁসের 

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ৩১ মে, ২০২১ ১৫:১৯:২৪

ছবিঃ সিএনআই

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ প্রতিনিয়তই বাড়ছে গ্রীস্মের  তাপদাহ। গরমে মানুষ হাঁসফাঁস করছে। গ্রীষ্মের তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পেতে নানারকম ফল খাচ্ছে মানুষ। এসব ফলের তালিকায় রয়েছে তালের শাঁসও। সুস্বাদু তালের শাঁস শরীর-মনকে সতেজ রাখে। প্রচণ্ড গরমে একটু স্বস্তি পেতে তাল শাঁস কিনে নিচ্ছেন অনেকে।

শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সবাই তাল শাঁস খেতে পছন্দ করে। কচি তাল শাঁস সকলকে তৃপ্তিও দেয়। গ্রীষ্মকালে এ এলাকার মানুষের কাছে এটা একটি সুস্বাদু, রসালো ও ঠান্ডা প্রকৃতির ফল।এই কারনে কালিয়াকৈর  উপজেলার বিভিন্ন  হাটবাজারে তালের শাঁসের বেশ কদর বেড়েছে।

সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিন কালিয়াকৈর উপজেলার গ্রামের হাট বাজারে প্রচুর পরিমাণে তাল শাঁস বিক্রি হচ্ছে।এ গরমে বাজারে এসে গেছে কচি তাল। তালের শাঁস পছন্দ করে না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। তা ছাড়া পুষ্টিগুণে ভরা মানবদেহের জন্য উপকারী তালের শাঁস গরমে মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়। পাশাপাশি মৌসুমি ফল হিসেবে তালের শাঁস অবদান রাখছে গ্রামীণ অর্থনীতিতেও। যদিও কালের বিবর্তনে  উপজেলার গ্রামাঞ্চলে কমে গেছে তাল গাছের সংখ্যা। 

সরেজমিনে  লক্ষ্য করা যায়,   উপজেলার শফিপুর, মৌচাক,কালিয়াকৈর বাজার সহ বিভিন্ন হাট বাজারে সারি সারি সাজানো কচি তাল। সেখানে খুচরা বিক্রেতাদের তাল বিক্রি করতেও দেখা গেছে। তবে  খুচরা বিক্রেতারা চড়া দামে বিক্রি করছে। 

জসিম নামের বিক্রেতারা জানান,এবার পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে থেকে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তাল শাঁস ৩টাকা পিস কিনে এনেছি। একটি তাল বিক্রি হচ্ছে ১০-১৫ টাকায়, আকারে বড় তাল ২০-২৫ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে। যা বেচা বিক্রি হয় তাতে আমাদের সংসার ভালই চলে। যে প্রচন্ড গরম তাতে তাল শাঁস লোকজন ভালোই খাচ্ছেন।প্রতিদিন ১৫০০-২০০০ টাকার তালের শাঁস বিক্রি করি। এতে প্রায় ছয় থেকে সাতশ টাকা লাভ থাকে, যা দিয়ে আমাদের সংসার মোটামুটি ভালোভাবেই চলে যায়।

নাছির নামের ক্রেতা বলেন, অসহ্য গরমের স্বস্তির একমাত্র ফল হচ্ছে তাল শাঁস। মানুষ ফরমালিন মুক্ত যে ফলটি পায় সেটি হলো তাল শাঁস। তাল শাঁস মধু মাসের ঠান্ডা প্রকৃতির একটা ফল। বাচ্চারা বায়না ধরেছে, তাই তাদের জন্য তাল শাঁস কিনতে এসেছেন অনেকেই।

কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের  কনসালটেন্ট    (শিশু) দেবব্রত রায় বলেন , এ-ই ফল যেমন  সুস্বাদু, অন্যদিকে কচি তালের শাঁসে জলীয় অংশ বেশি থাকে, যা দেহের পানিশূন্যতা অনেকটাই পূরণ করে।তাল শাঁসে থাকা উপকারী উপাদান লিভার সমস্যা ও রক্ত শূন্যতা দূরীকরণে  ভূমিকা রাখে। এতে থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টি শক্তি উন্নতি করে।     ফলে জ্যৈষ্ঠের এ গরমে হাট -বাজারে বেশ কদর বেড়েছে তাল শাঁসের।

উপজেলা কৃষি  কর্মকর্তা কৃষিবিদ  সাইফুল ইসলাম  বলেন, বাণিজ্যিকভাবে উপজেলায় তাল গাছের তেমন কোনো বাগান নেই।   সাধারণত বাড়িতেই মানুষ তালগাছ রোপন করে থাকে। 

এবারও তালের ফলন ভালো হয়েছে। নতুন নতুন গাছ থেকে এই তাল সংগ্রহ করা হচ্ছে।এখন বজ্রপাত রোধে বিভিন্ন রাস্তার ধারে ও খালের পাড়ে তালগাছ রোপণ করা হচ্ছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo