• বিশেষ প্রতিবেদন

ফেনীতে বোরো ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ০১ মে, ২০২১ ১২:১১:৫২

ছবিঃ সিএনআই

ফেনী প্রতিনিধি : ফেনীর ৬ উপজেলায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলায় এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০ হাজার ৭৫ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ৩২ হাজার ২০৫ হেক্টর। 

ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে তৃপ্তির হাসি। তবে লকডাউনের কারণে ধান কাটতে প্রয়োজনীয় শ্রমিক পাচ্ছে না কৃষকরা। এক্ষেত্রে বিভিন্ন উপজেলায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকদের ধান কেটে সহায়তা করছেন।

জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় চলতি মৌসুমে মোট বোরো আবাদ হয়েছে ৩২ হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে হাইব্রীড জাতের বোরো আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ১১৫ হেক্টর ও উফশি ২৬ হাজার ৯০ হেক্টর। বোরো আবাদের জন্য জেলায় ৩১০ টি প্রদর্শনী ও ১০০ জন কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ প্রদান করা হয়েছে।

সদর উপজেলায় উফশীর লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৮ হাজার ১শ ২৭ হেক্টর ও আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৫০ হেক্টর। হাইব্রীডের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হেক্টর বেশি আবাদ হয়েছে। হাইব্রীডের লক্ষমাত্রা ছিলো ৯শ হেক্টর।মোট ৮ হাজার ৯শ ৫৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। সদর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৯ হাজার ২৭ হেক্টর। 

গত বছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৯ হাজার ১শ হেক্টর ও আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৭শ হেক্টর। সোনাগাজী উপজেলায় হাইব্রীডের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১শ ৬৩ হেক্টর ও আবাদ হয়েছে ২শ ৫০ হেক্টর। উফশীর লক্ষমাত্রা ছিলো ৯শ ৫৪ হেক্টর ও আবাদ হয়েছে ১ হাজার ২০ হেক্টর। উপজেলায় মোট ১ হাজার ২শ ৭০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। 

আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১ হাজার ১শ ১৭ হেক্টর। সোনাগাজীতে বিগত বছরে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে ১ হাজার ১শ ১৫ হেক্টর। এর মধ্যে হাইব্রীড ১শ ২০ হেক্টর ও উফশী ৯শ ৯৫ হেক্টর।

ছাগলনাইয়া উপজেলায় উফশীর লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৪ হাজার ১শ ৪৩ হেক্টর ও আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ২শ হেক্টর। হাইব্রীডের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১ হাজার ৪শ ৪৩ হেক্টর ও আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৩শ ৯০ হেক্টর।

উপজেলায় মোট ৫ হাজার ৫শ ৯০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৫ হাজার ৫শ ৮৬ হেক্টর। ছাগলনাইয়ায় বিগত বছরে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে ৪ হাজার ৩শ ৫০ হেক্টর। এরমধ্যে হাইব্রীড ১ হাজর ১০ হেক্টর ও উফশী ৩ হাজার ৩শ ৪০ হেক্টর।

ফুলগাজী উপজেলায় উফশীর লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩ হাজার ৯ শ ১৭ হেক্টর ও আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৫০ হেক্টর। হাইব্রীডের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৭শ ২৫ হেক্টর ও আবাদ হয়েছে ৬শ হেক্টর। উপজেলায় জমিতে মোট আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে। 

আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৪ হাজার ৬শ ৪২ হেক্টর। ফুলগাজীতে বিগত বছরে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে ৪ হাজার ৩শ হেক্টর। এর মধ্যে হাইব্রীড ৫শ হেক্টর ও উফশী ৩ হাজার ৮শ হেক্টর।

পরশুরাম উপজেলায় হাইব্রীডের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২শ ৭১ হেক্টর ও আবাদ হয়েছে ২শ ৭০ হেক্টর। উফশীর লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২ হাজার ৯শ ৫৮ হেক্টর ও আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৯শ ৭০ হেক্টর। উপজেলায় মোট ৩ হাজার ২শ ৪০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। 

আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩ হাজর ২শ ২৯ হেক্টর। পরশুরামে বিগত বছরে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে ২ হাজার ৪শ ৫০ হেক্টর। এর মধ্যে হাইব্রীড ১শ ৫০ হেক্টর ও উফশী ২ হাজার ৩শ হেক্টর।

দাগনভূঞা উপজেলায় হাইব্রীডের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২শ ৯৮ হেক্টর ও আবাদ হয়েছে ৭শ হেক্টর। উফশীর লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৬ হাজার ১শ ৭৬ হেক্টর ও আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৮শ হেক্টর। উপজেলায় মোট ৬ হাজার ৫শ জমিতে আবাদ হয়েছে। 

আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৬ হাজার ৪শ ৭৪ হেক্টর। দাগনভূঞায় বিগত বছরে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে ৬ হাজার ২শ ৯৫ হেক্টর। এর মধ্যে হাইব্রীড ২শ ৩০ হেক্টর ও উফশী ৬ হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে।

জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শহীদুল ইসলাম আমার সংবাদকে জানান, পূর্বের তুলনায় চলতি মৌসুমে জেলায় বোরোর ফলন ভালো হয়েছে। তবে শতভাগ বোরো ধান কর্তন হলে উৎপাদনের সম্ভাবনা নির্ধারণ করা হবে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo